মিসরের পর্যটন শহর শারম এল শেখ-এ চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনার সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে তা ‘সীমিত’ আকারে।
সোমাবর (৬ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গুলিতে নিহত হয়েছেন ১০ জন। এদের মধ্যে ৩ জন নিহত হয়েছেন খাদ্য ও ত্রাণ নিতে গিয়ে। খবর আলজাজিরার।
গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪ জনে। ওই দিনই ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন, যাতে আলোচনার প্রক্রিয়া অগ্রসর হতে পারে। কিন্তু এর পরও হামলা অব্যাহত রয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার প্রথম দফা আলোচনা শেষ হয়েছে গভীর রাতে, আর মঙ্গলবার নতুন বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এই আলোচনা এমন এক সময় চলছে, যখন হামাসের ইসরায়েল আক্রমণ ও গাজা যুদ্ধের দুই বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। ফলে এই আলোচনাকে অনেকেই দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের অবসানের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন।
ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদরোশিয়ান জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী এখনো ‘প্রতিরক্ষামূলক কার্যক্রম’ চালাচ্ছে এবং গাজায় এখনো কোনো যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়নি।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, উভয় পক্ষই তার প্রস্তাবিত শান্তি কাঠামোর সঙ্গে একমত এবং তিনি দ্রুত অগ্রগতি চান।
সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প দাবি করেন, হামাস ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে’ সম্মত হয়েছে। তার প্রশাসনের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট জানান, আলোচনার প্রযুক্তিগত দিকগুলো নিয়ে দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও আশা প্রকাশ করেছেন যে, হামাসের হাতে থাকা ৪৮ ইসরায়েলি বন্দির (যার মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে) মুক্তির ঘোষণা এই সপ্তাহেই আসতে পারে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, হামাস বন্দিদের মুক্তি দেবে বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেবে। এছাড়া হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ ছাড়বে এবং ইসরায়েল সেখানে থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে।
এদিকে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৭ হাজার ১৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৯ জন, এবং দুই মিলিয়ন মানুষেরও বেশি খাদ্য ও আশ্রয়ের তীব্র সংকটে পড়েছেন।
কেকে/ এমএস