যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য কয়ছর এম আহমদ বলেছেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে যারা কথা বলছেন, তারা নিজেরাই পিআর সম্পর্কে কতটুকু ধারণা রাখেন তা নিয়ে আমি সন্দিহান। আমার ধারণা, তারা নিজেরাও পিআর বুঝেন না। বাংলাদেশের মানুষ পিআর কি তা বুঝে না। তারা প্রার্থীকে জেনে শুনে, যাচাই-বাছাই করে ভোট দিতে চায়। তারা দেখবে- তারা যাকে ভোট দিবে তিনি কতটুকু উন্নয়ন করতে পারবে, কতটুকু সৎ, কতটুকু ভালো মানুষ। সব মিলিয়ে তারা প্রার্থীকে জেনেশুনে ভোট দিতে চায়।’
শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় কয়ছর আরও বলেন, ‘পিআর এমন এক সিস্টেম যেখানে মানুষ ভোট দিলেও এমপি কে হবে তা ভোটার নিজেও জানে না। শুধু বাংলাদেশে নয়, পশ্চিমেও হাতেগোনা কিছু দেশ ছাড়া বহু দেশেই পিআর সিস্টেম নাই। জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি- একটি অবাধ সুষ্ঠু ভোট। জনগণ যাকে ভোট দিবে তাকে যেন জবাবদিহি করা যায়। পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে জবাবদিহিতা থাকবে না। মানুষ প্রার্থীকে জেনেশুনে ভোট দিলে সে যদি এমপি হয়, তবে তাকে জবাবদিহি করতে পারবে।’
বিএনপির প্রার্থীদের গ্রীন সিগন্যাল বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা নানা বিষয়ে বহু কিছু লিখে থাকেন। দল যখন প্রয়োজন মনে করবে, তখন অফিসিয়ালি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিব সাক্ষরিত অফিসিয়াল চিঠি আসবে। উপযুক্ত সময়েই সেটা পাঠানো হবে। যখন অফিসিয়াল চিঠি আসবে তখনই মনে করবেন এটা গ্রীন সিগন্যাল। এর আগে বহু কিছু লেখালেখি হবে। তাতে কান না দেওয়াই ভালো।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনছার উদ্দিন, ফারুক আহমদ, নুর আলী, শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি জালাল উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক রওশন খাঁন সাগর।
কেকে/ এমএ