রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫,
২৭ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা      নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা      অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রতিনিধি দল      ইতালির পথে প্রধান উপদেষ্টা      যুদ্ধবিরতির পর গাজায় একদিনে ফিরেছেন ৫ লাখ ফিলিস্তিনি      
আইন-আদালত
ট্রাইব্যুনালে তদন্ত কর্মকর্তা
দেশের ৪৩৮ স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২৮ পিএম আপডেট: ৩০.০৯.২০২৫ ৬:৩৫ পিএম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে নির্বিচারে গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়াও মাঠে নামানো হয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের। ৩ সপ্তাহের আন্দোলনে শহীদ হন প্রায় সাড়ে ১৪০০ ছাত্র-জনতা। আহত হন প্রায় ২৫ হাজার।

আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১’-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

ট্রাইব্যুনালে দেওয়া জবানবন্দিতে মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে দেশের অন্তত ৪৩টি জেলার ৪৩৮টি স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়। আন্দোলন দমনে ৫০টির বেশি জেলায় ব্যবহার করা হয় মারণাস্ত্র।’
 
মামলার ৫৪তম ও সর্বশেষ সাক্ষী আরও বলেন, ‘জুলাই আন্দোলন ও আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে হত্যা, গুম, খুন ও নির্যাতনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতায় টিকে থাকা।’
  
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণ সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বিটিভি ও ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজে। দেখানো হয় পুলিশের নৃশংসতা ও বর্বরতার তথ্যচিত্র।’
 
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর। তিনি এ মামলার সর্বশেষ সাক্ষী।
 
এদিকে, জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। সাক্ষী অসুস্থ থাকায় পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী সোমবার (৬ অক্টোবর)।
 
বলে রাখা ভাল, গেল ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৫টি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গেল ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।

কেকে/ এমএ
আরও সংবাদ   বিষয়:  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন   হত্যাকাণ্ড   আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ঘুমধুমে মাইন বিস্ফোরণে বিজিবি সদস্যের পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন
বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল
লালপুরে পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ব্লক ধসে ভাঙন আতঙ্ক
মৌলভীবাজারে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন
ভেড়ামারায় জাপান বাংলাদেশ নিহোঙ্গো সেন্টারে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

সর্বাধিক পঠিত

নারায়ণগঞ্জে টাইফয়েড টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন
বান্দরবানে শুরু হয়েছে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি
নেতা নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
সমতা আইনেই, বাস্তবে নয়
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রতিনিধি দল

আইন-আদালত- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close