সংযুক্ত আরব আমিরাত মুসলিম প্রধান দেশ হলেও এখানে বসবাসরত বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি ও ভারতীয় সনাতনী প্রবাসীর কারণে প্রতিবছর দুর্গাপুজো এক উৎসবে পরিণত হয়। বাংলাদেশের মানুষ এই উৎসবের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।
শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে আমিরাতের অবস্থানরত বাংলাদেশি সনাতন ধর্মালম্বীরা দশটি পূজা মণ্ডপ তৈরি করে ৫ দিন ব্যাপি পূজা উদযাপনের আয়োজন করেছেন। তারমধ্যে আবুধাবীতে একটি, আল আইনে তিনটি, ফুজিরাহ প্রদেশে ১টি, শারজাহ প্রদেশে ৩টি ও আজমান প্রদেশে ২টি পূজার মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। দুর্গাপূজা উদযাপনে ৫ দিনের অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
আমিরাতের আজমান প্রদেশে পূজার আয়োজন করেছে প্রবাসী সনাতনী ঐক্য পরিষদ। ঢাকের বাদ্যের সঙ্গে উলুধ্বনিতে উৎসবমুখর পূজা প্রাঙ্গণ। ভক্ত, পূজারী ও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে অনুষ্ঠানটি ভিন্নতা নিয়ে আসে।
প্রবাসী সনাতনী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সরকার জানান, আমিরাতে পূজার দুই মাস আগে থেকেই শুরু হয় প্রস্তুতি। দেশটির বিভিন্ন বিভাগে থাকা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভাগ করে দেওয়া হয় কর্মপরিকল্পনা। যে কারণে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র আমিরাতে। দল মত নির্বিশেষে সবাই পূজা দেখতে আসতে পারবেন।
প্রবাসী সনাতনী ঐক্য পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় জানান, প্রতি বছর সংগঠনের পক্ষ থেকে আজমান উইনার স্পোর্টস ক্লাবে পূজার আয়োজন করি। গত বছরের তুলনায় এবার আরো বড় প্রতীমা তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রতিদিন হাজারো প্রবাসী উপস্থিত হচ্ছেন পূজামণ্ডপগুলোতে। উৎসব ঘিরে দশ হাজার লোকের প্রসাদও বিতরণ হচ্ছে প্রতিদিন।
পূজামণ্ডপের পাশেই বসানো হয়েছে অস্থায়ী কিছু স্টল। এসব স্টলে চলছে খাবার ও মিষ্টান্নের জমজমাট বেচাকেনা। দর্শনার্থীদের চাহিদামতো পণ্যের যোগানও রয়েছে এখানে। ২ই অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসব। এ বছর দেবীদুর্গা এসেছেন দোলায়, যাবেন ঘোড়ায় চড়ে।
কেকে/এআর