রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫,
২৭ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা      নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা      অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রতিনিধি দল      
খোলা মত ও সম্পাদকীয়
খাগড়াছড়িতে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠাই এখন জরুরি
সম্পাদকীয়
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:৩০ এএম
ছবি : খোলা কাগজ

ছবি : খোলা কাগজ

খাগড়াছড়ির কিশোরী ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে যে ভয়াবহ সহিংসতা দেখা দিয়েছে, তা আমাদের সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ও রাষ্ট্রীয় দুর্বলতার নগ্ন চিত্রকেই তুলে ধরেছে। 

এক কিশোরীর ওপর সংঘটিত ঘৃণ্য অপরাধের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ যখন ন্যায়বিচারের দাবি তুলেছে, তখন সেটি ক্রমে সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। আগুন, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও গুলিতে প্রাণহানি- এসবের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের মূল বিষয়টি আড়াল হয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায়বিচার পাবে কি না, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। প্রথমত, ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের ঘটনার পর তদন্ত দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে এগোনো উচিত ছিল। কিন্তু তার বদলে বারবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি, গুলির ঘটনা প্রমাণ করে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থতা ছিল। বিশেষত তিনজনের প্রাণহানি এবং বাজারে আগুন লাগার ঘটনা প্রশাসনিক ব্যর্থতারই প্রতিফলন। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনের অভিযোগ তোলা হলেও, সেটি এখনো প্রমাণিত হয়নি। এ ধরনের বক্তব্য দায়িত্ব এড়ানোর শামিল বলেই মনে হয়।

সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হলো পাহাড়ি-বাঙালি বিভাজনের মধ্যে এই আন্দোলন নতুন করে অস্থিরতা ছড়াচ্ছে। পাহাড়ের দোকানপাট ও বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, লুটপাট- এসব ঘটনা পারস্পরিক অবিশ্বাস আরো বাড়াবে। অথচ এই সংবেদনশীল অঞ্চলে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো সব সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। একটা সহনশীল প্রতিবেশ তৈরি করা। 

আমাদের মনে রাখতে হবে, আন্দোলনের মূল দাবি ছিল ধর্ষণের বিচারের নিশ্চয়তা। তাই বিচারের স্বচ্ছ ও দ্রুত প্রক্রিয়া শুরু না করলে পরিস্থিতি আরো জটিল হতে পারে। একই সঙ্গে সহিংসতার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার পরিবারকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও মানসিক সহায়তা দেওয়া জরুরি।

খাগড়াছড়িতে ন্যায়বিচারের দাবিকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতা চলছে, সেটি শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়, গোটা দেশের জন্যই সতর্কবার্তা। রাষ্ট্র যদি অপরাধীকে শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে ন্যায়বিচারের বিশ্বাস আরো ক্ষয়িষ্ণু হবে। আর তা হলে সহিংসতার চক্র থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়বে। শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো ন্যায়বিচার।

কেকে/ এমএস
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লায় শিয়ালের কামড়ে শিশুসহ আহত ৭
নবীনগরের কালিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট চরমে
২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের
সিলেটবাসী নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত : আরিফুল
নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মিছিল ও স্মারকলিপি

সর্বাধিক পঠিত

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে চরম দুর্নীতি ও অনিয়ম
রাজশাহীতে চার পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ
রায়েরবাজারে দুই মাস ধরে অর্ধসমাপ্ত সাদেক খান সড়ক
মৌলভীবাজারে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন
গাজীপুরে টাইফ‌য়েড টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন

খোলা মত ও সম্পাদকীয়- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close