মাদকদ্রব্য সমাজ, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির জন্য একটি অন্যতম সমস্যা। মাদকের অবৈধ ব্যবহার দিন দিন আমাদের প্রজন্মকে গ্রাস করে নিচ্ছে। ধ্বংস করছে আমাদের সন্তানদের মেধা, ঘটাচ্ছে সামাজিক অবক্ষয়। এতে করে বাঞ্ছারামপুরে দিন দিন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বেড়েই চলেছে। মাদক কারবারিদের প্রধান টার্গেট হয়ে ভয়াবহ মরণ নেশার নির্মম শিকারে পরিণত হচ্ছে আমাদের তরুণ ও যুবসমাজ। এলাকায় বেড়েছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি। মাদকসেবি ও কারবারীদের অত্যাচারে সমাজে টিকে থাকা দায়। আর চুপ থাকা নয়। এখন থেকে প্রতিরোধ হবে। কঠোর হস্তে দল মত নির্বিশেষে তাদের দমন করা হবে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাঞ্ছারামপুরে প্রধান ঈদগাহ প্রাঙ্গণে এলাকার যুব সমাজ কর্তৃক আয়োজিত মাদক নির্মূল ও প্রতিরোধ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বাজার কমিটির সভাপতি ভিপি একেএম মুছা।
তিনি বলেন, কাল (বৃহস্পতিবার) মধ্যে বাঞ্ছারামপুর সদরের সব মাদক কারবারিদের আত্মসমর্পনের সুযোগ দিচ্ছি। নইলে তাদের ধরে এনে মাদক নির্মূল কমিটি ও এলাকার যুব সমাজ পুলিশের কাছে তুলে দিব। তাদের এলাকায় ঠাঁই হবে না।
সভায় বিভিন্ন বক্তারা বলেন, মাদক সেবনের ফলে তরুণ ও যুবসমাজ তাদের জীবনীশক্তি, সৃজনশীলতা, নৈতিকতা ও মেধা-মনন হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছে। হতাশায় নিমজ্জিত যুবসমাজের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ হয়ে পড়ছে অনিশ্চিত। ফলে এসব তরুণ-যুবক জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে। এর জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সভায় জানানো হয়, পূর্ব বাঞ্ছারামপুর ও দড়ি বাঞ্ছারামপুরে কাল থেকে যুব সমাজের উদ্যোগে ২০ জন করে ৪০ জনের একটি টিম বিভিন্ন মাদক স্পষ্ট ও কারবারিদের বাড়িতে রাতভর পাহাড়া দিবে। মাদক পাওয়া গেলে তাদের বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় সোপর্দ করা হবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন- পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছালে মুছা, পৌর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মতিয়ূর রহমান জালু, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাইবুর হাসান মাসুম, লুতফুর রহমান লাতু, ফারুক মিয়া, সিনিয়র সাংবাদিক ফয়সল আহমেদ খান, ঈমান আলী, আবু কালাম, মাহবুব হাসান, সালাউদ্দিন বাসু প্রমুখ।
এ সময় তৌকির আহমেদ শামীম নামে এক মাদক কারবারি আত্মসমর্পণ করেন। এবং জীবনে আর কখনোই মাদক ব্যবসা করবে না বলে প্রতিজ্ঞা করেন।
কেকে/ আরআই