'সবকিছু ফেলে, এক কাপড়ে পালিয়ে গেছে শেখ হাসিনা' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শ্রম সম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লা।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টার দিকে বরগুনার তালতলী উপজেলার লাউপাড়া বাজারে সোনাকাটা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান -এর ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের সমর্থনে, জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে মাত্র ৩৫ দিনে এ দেশে ২ হাজার ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছে। যখন আমি রাজপথে আন্দোলনে যেতাম তখন ভাবতাম! বাসায় ফিরে আসতে পারব কিনা। আমার পাশের ছেলেটা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমি আজীমপুরে যে টিম নিয়ে কাজ করতাম আমার সাথের লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমরা লড়াই করেছি, রক্ত দিয়েছি। ১৭ বছর আমাদের সংগ্রাম চলেছে। আমাদের হাজারো নেতা-কর্মী গুম, খুন হয়েছে। আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান দেশে আসতে পারে নাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা পাননি, তাকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। এতো জুলুম নির্যাতন করেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। সবকিছু ফেলে, এক কাপড়ে পালিয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাই আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমানের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ, যেখানে ঘুষ-দুর্নীতি থাকবে না।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি ২৫০ আসন নিয়ে বিজয় লাভ করবে। এ জন্য আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণ যে কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর আচরণে যদি অসন্তুষ্ট হয়, জনগণ ভীতসন্ত্রস্ত হয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে গোটা দল। আর গোটা দল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মানে শহীদ জিয়া অসম্মানিত হওয়া, বেগম খালেদা জিয়া অসম্মানিত হওয়া, তারেক রহমান অসম্মানিত হওয়া। কোন ভূমিদস্যু, মামলাবাজ, জমি দখলকারী, চাঁদাবাজ বিএনপি করতে পারবে না।
এ সভায় আরো বক্তব্য দেন, বরগুনা সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তালিমুল ইসলাম পলাশ, বরগুনা জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নাসির উদ্দিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রুহুল আমিন, তালতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মিয়া. মো. শামীম আহসান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মিয়া. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য মো. সেলিম মাতুব্বরসহ উপজেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কেকে/বি