রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশ ফিরিয়ে এনে নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্ত্বরে ক্যাম্পাসে চলমান অস্থিতিশীল পরিবেশ নিয়ে এক সংবাদসম্মেলনে এই দাবি জানান তারা।
শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চলমান কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির কারণে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে বলে তারা অভিযোগ করেন। এই প্রেক্ষাপটে আসন্ন রাকসু নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজন নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ বাড়ছে।
এসময় তাসিন খান লিখিত বক্তব্যে জানান, ২৫ তারিখে আসন্ন রাকসু নির্বাচন উপলক্ষে আমরা সকলেই উৎসবমুখর পরিবেশে রাকসুর প্রচারণা করছিলাম। কিন্তু পোষ্য কোটাকে সামনে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে সেখানে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলেই পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে, যা আমাদের কখনোই কাম্য নয়। রাকসু আমরা চাই, রাকসু দিতে হবেই। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন কোনোভাবেই বন্ধ করা চলবে না।
সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বলেন, নির্বাচন পিছিয়ে না দিয়ে নির্ধারিত তারিখেই ভোট গ্রহণ করতে হবে। তারা আরো জানান, শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় নির্বাচন যথাসময়ে আয়োজন করা জরুরি।
এসময় তারা ৫ দাবির কথা উল্লেখ করেন-
১. রাকসু নির্বাচন হতে হবে এবং কোনোভাবে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। তবে ক্যাম্পাস শাটডাউন, ক্লাস অফ রেখে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস বিমুখ রেখে কোনোভাবে রাকসু নির্বাচন হতে পারে না;
২. সকলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু রাকসু নির্বাচন হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অতি দ্রুত পোষ্য কোটা ইস্যু মীমাংসা করে ক্যাম্পাসের স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে;
৩. লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রেখে রাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। আমরা কোনোভাবে আমাদের প্রাণের রাকসু নির্বাচনকে একতরফা নির্বাচন হতে দিতে চাই না;
৪. ক্যাম্পাসের অস্থিতিশীল পরিবেশ, কমপ্লিট শাটডাউন, পূজার ছুটি সবকিছু বিবেচনা করে রাকসু নির্বাচন কমিশনারকে পরবর্তী পদক্ষেপ অতি দ্রুত নিতে হবে;
৫. কোনোভাবে রাকসু নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত হতে দেওয়া হবে না এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্থিতিশীল করে রাকসু নির্বাচন হতে দিতে হবে।
কেকে/ এমএস