সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-২৪৮ দুবাই থেকে সিলেট হয়ে ঢাকামুখী একটি ফ্লাইটের ১৭৮ জন যাত্রী দুবাইয়ে আটকা পড়েছেন। এর মধ্যে ১৭৫জন যাত্রীকে হোটেলে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ৩ জন যাত্রীর ভিসা সমস্যা থাকায় এয়ারপোর্টের লাউঞ্চে রাখা হয়েছে।
বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের ওই উড়োজাহাজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘গ্রাউন্ডেড’ হয়ে আছে, অপেক্ষায় রয়েছে ঢাকা থেকে যন্ত্রাংশ যাওয়ার। বাংলাদেশ থেকে আজ (বুধবার) রাতে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট বিজি-৩৪৭ যোগে যন্ত্রাংশ দুবাইয়ে পৌছানোর কথা রয়েছে৷ এরপর মেরামত শেষে রাতেই দেশের উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়া কথা রয়েছে।
ফ্লাইটটি মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে দুবাই আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। সেখানে ১ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে ঢাকায় পৌঁছার কথা ছিল সকাল ৯টায়।
বিমানের এ ফ্লাইট গতকাল ঢাকা থেকে দুবাইয়ে অবতরণ করেছিল স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১১ মিনিটে। সেখান থেকে ফিরতি ফ্লাইটে রওনা দেওয়ার কথা ছিল রাত ১২টা ৫ মিনিটে। নির্ধারত সময়ে সকল যাত্রীকে বিমানে উঠানোর পর যান্ত্রিকত্রুটি দেখা দেয়। শেষ খবর অবধি, দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থেকে গ্রাউন্ডেড করে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটকে পড়া যাত্রীদের দুর্ভোগে থাকার তথ্য দিয়ে ফ্লাইটটির যাত্রী সিলেটের জনপ্রিয় বক্তা মাওলানা আব্দুল আহাদ জিহাদি "খোলা কাগজ" এর প্রতিনিধিকে মোবাইল ফোনে বলেন, দেশে যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার রাত আটটায় তিনি আজমান থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। বোডিং ও ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করে বিমানেও উঠেছিলেন। কিন্তু আকাশে উড়াল দেওয়ার আগেই যান্ত্রিকত্রুটি দেখা দেওয়ায় বর্তমানে হোটেলে অবস্থান করছেন। কবে ফ্লাইটটি রওয়ানা দিবে এই সর্ম্পকে কিছুই জানেন না৷
ফ্লাইটের ঢাকাগামী অপর যাত্রী হাবিব আহমেদ জানান, আমি আবুধাবী থেকে ঢাকায় তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য বিমানের এই ফ্লাইটি বেচে নিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে সমস্যা দেখা দেওয়ায় কবে দেশে পৌছাব জানিনা।
ফ্লাইট বিলম্ব হওয়ায় নারী, শিশু, প্রবীণসহ নানা বয়সের যাত্রীরা দুর্ভোগের মধ্যে আটকা পড়ে আছেন।”
১৭৮জন যাত্রী নিয়ে দুবাইয়ে বিমান আটকে পড়ার বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দুবাইয়ের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সাকিয়া সুলতানা "খোলা কাগজ"কে জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিমানের প্রতিটি ফ্লাইট উড্ডয়নের আগে বার বার যাচাই করে দেখা হয়। দুবাইতেও বিমানের ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ে আকাশে উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছিল কিন্তু সবকিছু ঠিকভাবে যাচাই করলে যান্ত্রিকত্রুটি ধরা পড়ার গ্রাউন্ডেড করে রাখা হয়েছে। ১৭৫ যাত্রীদের জন্য হোটেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩ জন যাত্রীর ভিসা মেয়াদ না থাকায় এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে রাখা হয়েছে এবং যাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিষয়টি বিমানের ঢাকা অফিসকেও জানানো হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।
কবে বিমান বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে যন্ত্রাংশ আসার পর যান্ত্রিকত্রুটি সমাধান করে রাতের মধ্যেই উড্ডয়নের কথা রয়েছে।
কেকে/এআর