এক মাস পর নীলফামারীতে ফের বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। উজানের ঢলে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল তিনটায় ডালিয়ায় ডিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এদিন ৯ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১৪ সেন্টিমিটার। সেখানে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, রোববার সকাল ৬টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর সকাল ৯টায় ৬ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ৫ সেন্টিমিটার ও বিকাল ৩টায় আরও ৩ সেন্টিমিটারসহ ৯ ঘন্টায় ১৪ সেন্মিটার পানি বৃদ্ধি পায়। ওই পয়েন্টে নদীর পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার। বিকাল তিনটায় সেখানে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
এর আগে উজানের ঢলে গত ১৪ আগস্ট ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলে তিস্তা অববাহিকায় বন্যা পরিস্থির সৃষ্টি হয়। এরপর পানি কমে স্বাভাবিক পরিস্থি বিরাজ করে।
তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম ও চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে পানি বেড়েছে। তবে বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেনি। রাতে পানি বৃদ্ধির শঙ্কায় রয়েছে এসব গ্রামের মানুষ।
ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘দফায় দফায় নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনো কোনো ঘর-বাড়িতে পানি ওঠেনি।’
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘উজানের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিকাল ৩টায় ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সবকয়টি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।’
কেকে/ এমএ