দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। রাত পোহালেই শুরু হবে ভোটগ্রহণ। পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে এখন নির্বাচনকে ঘিরে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা। শিক্ষার্থীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে আগামী দিনের নেতৃত্ব বেছে নিতে।
এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও ছাত্র ইউনিয়ন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। প্রতিটি পদেই দুই থেকে তিনজন করে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার আভাস মিলছে।
এদিকে, ভিপি পদে লড়ছেন ৯ জন। ছাত্রশিবির প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন আরিফুল্লাহ আবিদ, বাগছাস থেকে আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল, স্বতন্ত্র থেকে আব্দুর রশিদ জিতু এবং ছাত্রদল থেকে শেখ সাদি হাসান। তবে এদের মধ্যে এগিয়ে ছিলো আব্দুর রশিদ জিতু এবং আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল। তবে ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলের পরে অনেকেই ছাত্রশিবির মনোনীত প্রার্থী আরিফুল্লাহ আবিদকে এগিয়ে রাখছেন।শিক্ষার্থীদের ধারনা এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশ জমে উঠবে।
জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ জন প্রার্থী। তবে সব ছাপিয়ে আলোচনায় আছেন ছাত্রশিবির মনোনীত মাজহারুল ইসলাম, বাগছাস মনোনীত প্রার্থী তৌহিদ মুহাম্মদ সিয়াম এবং ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী। তবে শিক্ষার্থীদের মতে এ পদে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে মাজহারুল ইসলাম এবং তৌহিদ মো. সিয়ামের। দুই প্রার্থীর মধ্যে কে শিক্ষার্থীদের আস্থা আদায় করতে পারবেন, সেটিই মূল প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১০ জন প্রার্থী। তবে এজিএস পদে তিনজন প্রার্থীর ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা হলেন- শিবির মনোনীত ফেরদৌস আল হাসান, বাগছাস মনোনীত প্রার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ান এবং ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম। প্রত্যেকেই শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। ভোটের মাঠে প্রতিটি সংগঠনই তাদের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে মরিয়া। তিন দিক থেকেই সমান তৎপরতা থাকায় ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, ফলে এ পদের ফলাফল একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
নারী এজিএস পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী ৬ জন হলেও শিক্ষার্থীদের মতে এগিয়ে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা এবং বাগছাস সমর্থিত প্রার্থী মালিহা নামলাহ। আয়শা সিদ্দিকা মেঘলার নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও নেতৃত্বে অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি অন্যদিকে মালিহা নামলাহর নারী অধিকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সমান সুযোগের দাবি।
এদিকে, রাজনৈতিক মতাদর্শের কিছু বাঁধা ভোট এবং জনপ্রিয়তায় অনেকে এগিয়ে থাকায় বাকি পদ গুলোতেও শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর প্রার্থীদের এগিয়ে রাখছেন।
কেকে/ আরআই