প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে আলাদা বিভাগ করার প্রস্তাব অনুমোদন দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগের সাথে নয়, বরং ঢাকা বিভাগে থাকার দাবি জানিয়েছেন শরীয়তপুরবাসী।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শহরের চৌরাঙ্গী এলাকায় ঢাকা বিভাগে থাকার দাবিতে জাগো শরীয়তপুর নামের সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর তারা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, পদ্মা ও মেঘনা নামে বিভাগ হচ্ছে না। কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে আলাদা বিভাগ করার জন্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) আগামী সভায় কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে আলাদা বিভাগ করার প্রস্তাব অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার।’
তারা আরও বলেন, ‘তবে ভৌগোলিক দিক থেকে শরীয়তপুর থেকে ফরিদপুরের তুলনায় ঢাকার দূরত্ব কম। তাছাড়া শরীয়তপুরের সাথে ঢাকার শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, ব্যবসায়-বাণিজ্যের নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে। পদ্মা সেতুর চালুর পর থেকে সেগুলো আরও সহজ হয়েছে। তাই, শরীয়তপুরবাসী কোনভাবেই ফরিদপুর বিভাগে যেতে চাচ্ছে না।’
তাই, শরীয়তপুর জেলাকে ঢাকা বিভাগ থেকে আলাদা করার চেষ্টা করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা।
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এইচএম জাকির বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি, ফরিদপুর ও কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণার চেষ্টা হচ্ছে। শরীয়তপুর জেলাকে প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগের সাথে রাখতে চাচ্ছে। তবে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিভাগের সাথে রয়েছি। তাই কোনোভাবেই আমরা ফরিদপুর বিভাগে যাবো না। যদি আমাদের দাবি উপেক্ষা করা হয়, তাহলে কঠোর আন্দোলনে যাবো।’
জাগো শরীয়তপুরের আহ্বায়ক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘আমরা কয়েকটি গণমাধ্যমের মাধ্যমে জেনেছি, সরকারের নিকার সভায় প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগের ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত চলমান রয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। আমাদের মূল দপ্তরগুলো ঢাকা বিভাগে। গত সরকার ফরিদপুর বিভাগ তৈরি করার প্রহসনের মাধ্যমে বহু দপ্তর গোপালগঞ্জে নিয়ে গিয়েছে। আমরা কোনোভাবেই ফরিদপুর বিভাগে যেতে চাচ্ছি না। আমাদের জেলাবাসীর প্রাণের দাবি, আমরা ঢাকা বিভাগের সাথেই থাকবো।’
কেকে/ এমএ