যশোরের কেশবপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ভাইপোর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সুজাপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘১৯৯১ সাল থেকে আমি পারিবারিকভাবে পাওয়া জমিতে বাড়ি, মিল ঘর নির্মাণ ও পুকুর কেটে সানবাধাই করে ভোগদখল করে আসছি। ২০২২ সালে জমি কম হয়েছে মর্মে আমার মেঝো ভাই জালাল উদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন এসি ল্যান্ড অফিসে আমার নামে অভিযোগ করেন। সে সময় এসি ল্যান্ড স্থানীয় মেম্বারের কাছে দুই পক্ষ থেকে দুই জন আমিন এনে মাপার জন্য বলেন। জমি মাপার পর সীমানার কোন পরিবর্তন না হওয়ায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, দুই জন আমিন, ওয়ার্ড সদস্য এবং ভাইপো জাকিরও সই করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২৩ সালে আমার নামে বণ্টননামা মামলা করে। ২০২৪ সালে আমার দোকানঘর নষ্ট হওয়ায় পাকাঘরের কাজ করার উদ্দেশ্যে ভিত পর্যন্ত গাঁথুনি করলে জাকির আমার নামে ১৪৪ ধারা জারি করায়। এরপর কোর্ট থেকে এসি ল্যান্ডের উপর প্রতিবেদনের দায়িত্ব দিলে তিনি নায়েব দ্বারা সরেজমিন দেখে নোটিশ দিলে এসি ল্যান্ড প্রতিবেদন দাখিল করে। সেখানে লেখা আছে, ১৯৯১ সাল থেকে আমার জমি দখলে আছে এবং যার যার জমি সবার দখলে রয়েছে। তারপর গত ২৫ মার্চ আমার কাগজপত্র দেখে কোর্ট মামলা খারিজ করে দেয়। পরে আমার জমিতে দোকান তৈরি করতে চাইলে ও কাজ করতে গেলে আমার গাথা পাকা ভিটা ভাংচুর করা হয়। এরপর হঠাৎ এক দিন জমি মাপার জন্য জাকির আমিন এনে নিজে নিজে মেপে আমার জমির রাস্তার পাশে খুঁটি মারে এবং তাকে দখল দিতে বাধা দিলে দা দিয়ে আমাকে মারতে আসে। এছাড়া, জোরপূর্বক আমার ভাইপো জাকির হোসেন ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নেয়।’
রেজাউল বলেন, ‘মারতে আসার ঘটনা উল্লেখ করে গত ২৪ জুলাই থানায় একটি অভিযোগ করি। আমি যাতে আমার জমির উপর দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসায় করতে পারি ও পরিবার নিয়ে নিরাপদে থাকতে পারি, এ জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে, সেটি মিথ্যা ও বানোয়াট। দীর্ঘদিন ধরে আমার ছোট চাচা রেজাউল ইসলাম ওয়ারেশ সূত্রে পাওয়া জমি বেশি ভোগদখল করায় তিনি তার পছন্দমত জায়গা ছেড়ে দেন এবং শরীকদের সম্মতিক্রমে চলমান মামলাটি মীমাংসার স্বার্থে শরীকরা মিলে একটা আপোষনামা তৈরি করা হয়।’
কেকে/এমএ