স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালালেও শয়তানি ছাড়েনি। দিল্লির মাটিতে বসে এখনো তার শয়তানি চলমান রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) তুরাগের ১৫ নং সেক্টরে ২ নং ব্রিজ এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত খাল পরিষ্কার কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দিল্লিতে বসে যেই নির্দেশনা দিচ্ছেন সেই নির্দেশনার আলোকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে, মানুষের উপর হামলা করছে। আপনারা দেখেছেন গণধিকার পরিষদের নুরুল হক নুরকে হামলা করেছে। জাগপা'র সভাপতি লুৎফুর রহমান ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে, এছাড়াও দেশজুড়ে আরো বহু নরকীয় তাণ্ডব চালাচ্ছে তারা। এরকম হামলা আপনাদের উপরে হলে সাথে সাথে প্রতিহত করবেন এবং সাথে সেইসব হামলাকারীদের হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবেন।
তিনি আরও বলেন, শিশু থেকে বয়বৃদ্ধ হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতা কারো দেয়া উপহারের স্বাধীনতা নয়, রক্তের বিনিময়ে অর্জন করা আমাদের এই স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা কোনো মতেই খর্ব করতে দেয়া হবে না। আমাদের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস সাহেব আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন, কিছু ভিন্ন মতালম্বী রাজনৈতিক দল তা বিনষ্ট করতে পায়তারা করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলার মানুষ গত ১৫ বছর ভোট দিতে পারেনি, ভোট দেয়ার জন্য মানুষ মুখিয়ে আছে। আমরা তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন বিষয়ে মানুষকে সচেতন করব, সেই আলোকে দেশ সংস্কার করব। আগে সাংবাদিক ভাইয়েরা লিখতে পারতেন না, এখন কিছুটা স্বাধীনতা পেয়েছেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ফুটবলার আমিনুল হকের সভাপতিত্বে ও উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জামানের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুস্তাফিজুর রহমান সেগুন, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, আফাজ উদ্দিন আফাজ, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল, সদস্য সচিব সাজ্জাদ মিরাজ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফরিদ খান, মহানগর উত্তর শ্রমিক দলের সভাপতি মো. রাজা প্রমুখ।
কেকে/ আরআই