নওগাঁর বদলগাছী থানার চাঞ্চল্যকর সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের সেই ভিডিও ভাইরালকারী মূলহোতা ধর্ষক মো. রিফাত হোসেনকে (২৪) আটক করেছে র্যাব-৫।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে অভিযান গোল্লা মাধুপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করেছ র্যাব।
আটক রিফাত মহাদেবপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম (বয়স ১৪ বছর) স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। ঘটনার দিন ইং ১৩/০৭/২০২৫ তারিখ দুপুর আনুমানিক ০১.০০ ঘটিকার সময় মহাদেবপুর থানাধীন ৭নং সফাপুর ইউপিস্থ বিনোদপুর প্রাইমারি স্কুলের নির্মাণাধীন ওয়াশরুমের পাশ দিয়ে জনৈক মো. দেলোয়ার হোসেনের দোকানে জিনিস কিনতে যাচ্ছিল। নির্মাণাধীন ওয়াশরুমের পার্শ্বে পৌছামাত্র পূর্ব থেকেই ঔৎ পেতে থাকা ১নং আসামি মো. রিফাত হোসেন ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক নির্মাণাধীন ওয়াশরুমের মধ্যে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
এসময় ২নং আসামি মো. ধানী দানেস পাহারা দেয় এবং উক্ত ঘটনা যেন কাউকে না বলে সেজন্য ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে। উক্ত আসামিদ্বয় কর্তৃক ধর্ষণের ভিডিও করে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
এই ঘটনায় মহাদেবপুর থানায় ভিকটিমের পিতা বাদী একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। আসামিদেরকে গ্রেফতারের জন্য অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ ও সিপিএসসি এর একটি চৌকস অভিযানিক দল আসামিদের গতিবিধি অনুসরণ ও বিশ্লেষণ করে। অতঃপর মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার অধিযাচনের প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার রাতে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানাধীন গোল্লা মাধুপাড়া নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার ১নং আসামি রিফাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামিকে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানায় জিডি মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাবের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
কেকে/এআর