তাড়াশে দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। শুকনো মৌসুমে ধুলাবালি আর বর্ষায় কর্দমাক্ত। দীর্ঘদিন ধরে পাকা না হওয়ায় রাস্তাটির অবস্থা বেহাল। ক্ষোভে প্রতিবাদে রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়েছেন এলাকাবাসী।
সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়েছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের শিলংদহ গ্রামের বাসিন্দারা।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দেশীগ্রাম ইউনিয়নের শিলংদহ গ্রাম হয়ে, গুড়মা গ্রাম পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় দুই কিলোমিটার। এ রাস্তায় হাঁটুসমান কাদা-পানি মাড়িয়ে স্কুল-কলেজে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। গ্রামের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না জরুরি সেবার কোনো গাড়ি। এমনকি মরদেহ দাফনের জন্য গোরস্থানে যেতেও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এলাকাবাসীর।
এছাড়া শিলংদহ গ্রামের হাজার হাজার একর জমির ফসল এ রাস্তা দিয়েই আনা-নেওয়া করেন শত শত কৃষক। কৃষিপণ্য বাজারজাত করতেও একই সড়ক ব্যবহার করতে হয় তাদের।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আব্দুল হান্নান জানান, ক্ষীরশীন গ্রাম থেকে শিলংদহ হয়ে পাশের গুড়মা গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি হলে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। এ জন্য এলাকাবাসী (৪ আগস্ট) সকালে রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর ৫৪ বছর পার করলেও আমাদের রাস্তার উন্নয়নে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বারবার বলা সত্ত্বেও তারা গ্রামের রাস্তাটি যেন চোখে দেখেন না। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় হাঁটু সমান কাদা মাড়িয়েই চলাচল করতে হয় শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষকে। বছরের প্রায় পাঁচ-ছয় মাস ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তাই ধান রোপণ করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী (স্থানীয় সরকার বিভাগ) মো. ফজলুল হক বলেন, ওই সড়কটি পাকাকরণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। দ্রুত পাকাকরণ করা হবে। তাহলে আর এই ভোগান্তি হবে না।
কেকে/এএস