বিক্ষোভ সমাবেশে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে | ছবি : খোলা কাগজ
কুমিল্লার মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে হামলার ঘটনায় আসিফ মাহমুদের অন্তত ১০ থেকে ১২ জন সমর্থক আহত হয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আরো ছয়জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন—দৈনিক খোলা কাগজের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি শাহ ইমরান, স্টার নিউজের আব্দুল্লাহ আল মারুফ, বার্তা ২৪-এর মঈন নাসের খাঁন রাফি, দৈনিক পূর্বাশার হাবিবুর রহমান মুন্না, এশিয়ান টেলিভিশনের মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ, এসএ টিভির ক্যামরাম্যান মো. বাপ্পি।
এ সময় একটি মোবাইল ও তিনটি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া একজন ইউপি সদস্যও আহত হন।
ছবি : খোলা কাগজ
বুধবার বিকালে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে এনসিপির নেতৃবৃন্দ ও মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ নিয়ে সমাবেশে জমায়েত হন। এ সময় সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে বেশ কয়েকটি ইট, পাটকেল ছোঁড়া হয়। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
আহত ইউপি সদস্য শেখর জানান, আমরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আল্লাহ চত্বরে এসে সমাবেশ শুরু করার পরপরই সমাবেশ লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইটপাটকেল। এ সময় আমাকে ও সাংবাদিকদের ব্যাপক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেন এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন।
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক জানান, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর করে শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। এ সময় প্রায় অর্ধশতাধিক সমর্থক আহত হন। এ ছাড়া মেম্বার ও আমার অবস্থা গুরুতর।
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান বলেন, আজ মুরাদ নগরের সদরে এনসিপির সমর্থনের একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থানকৃত কিছু লোক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এরপরে বিপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে। তবে এনসিপির সমর্থকদের অর্ধশতাধিক আহতের বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। এ ছাড়াও কারা এ হামলার সঙ্গে ইন্ধনদাতা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।