মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মোবারক হোসেনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (৩০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ রায় দেন। সেই সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
এর আগে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মোবারক হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দু’টি প্রমাণ হয়। এরমধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে মোবারক হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৩ নম্বর অভিযোগে মোবারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
এছাড়া অপর তিনটি অভিযোগ (২, ৪ ও ৫ নম্বর) প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়। এরমধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে আখাউড়ার টান মান্দাইল গ্রামের ৩৩ জনকে গঙ্গাসাগর দীঘির পাড়ে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৩ নম্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী আব্দুল খালেককে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন মোবারক হোসেন। গত ৮ জুলাই তার করা আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল-১ মোবারকের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করেন। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণিত হয়। এর একটিতে মৃত্যুদণ্ড ও অপরটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ে বলা হয়, একাত্তরে মোবারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাকার বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিলেন।
মোবারক ২০১২ সাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
কেকে/এআর