ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলার মাতু বাড়ির মোড়ে প্রায় ৪০ শতক ভূমির ওপর অবস্থিত কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ বাঞ্ছারামপুর জোনালের সাবস্টেশনটি চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সরকার ঘোষিত কেপিআইয়ের (রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) অন্তর্ভুক্ত হলেও বৈধ/অবৈধভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সীমানা ঘেঁসে তৈরি হয়েছে এলপিজি গ্যাসের দোকান। বিভিন্ন গ্যাস চালিত চা স্টলসহ বিভিন্ন দোকান পাট। এর কোনটি নিজস্ব জায়গায় আবার কোনটি সরকারি রাস্তার জায়গা দখল করে গড়ে তোলা এসব দোকানপাট। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। যেকোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। সম্পদসহ প্রাণহানিও হতে পারে।
অভিজ্ঞ মহল মনে করেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশে গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে তা খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশে এই ধরনের বিস্ফোরণ মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা উচিত নয়।
বাঞ্ছারামপুর পল্লী বিদ্যুৎ এর সাব স্টেশনের আশেপাশে বসবাস করেন, এমন একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশে সিলিন্ডার থাকাটা ভয়াবহ বিপদ হতে পারে। কারণ, গ্যাস সিলিন্ডার সাধারণত দাহ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি এবং উচ্চ চাপে গ্যাস ধারণ করে। সামান্য ত্রুটি বা উত্তাপের কারণে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হতে পারে, যা আশেপাশে থাকা মানুষ এবং সম্পত্তির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।’
বাঞ্ছারামপুর ফায়ার সার্ভিসের স্থানীয় কমান্ডার আ. কাদের মুঠোফোন বলেন, ‘গ্যাস লিক হয়ে আগুন লাগতে পারে, যা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে বা আশেপাশে থাকা অন্যান্য দাহ্য পদার্থে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং বড় অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি করতে পারে। আমরা তাদের লাইসেন্স আছে কিনা খতিয়ে দেখব।’
বাঞ্ছারামপুর পল্লী বিদ্যুৎ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রকৌশলী গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ বা অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।’
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বলেন, ‘বিস্ফোরণ বা অগ্নিকাণ্ডের কারণে আশেপাশে থাকা মানুষ আহত বা নিহত হতে পারে এবং মূল্যবান সম্পদ নষ্ট হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অতএব, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ এবং এটি এড়িয়ে চলা উচিত। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গ্যাস সিলিন্ডারসহ যেকোনো দাহ্য পদার্থ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশেপাশে রাখা উচিত নয়। আমি এবিষয় খুব শীঘ্রই খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিব।’
কেকে/এজে