রংপুরের তারাগঞ্জে গোয়াল ঘরের দরজা ভেঙে কৃষকের ছয়টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। গরুগুলোকে হারিয়ে আর্তনাদ করছেন এমাজ উদ্দিনের ছেলে মেনারুল ইসলাম। উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর ঝাকুয়াপাড়া গ্রামে গরু চুরির এ ঘটনা ঘটে।
কৃষক মেনারুল ইসলাম কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, প্রতিদিনের মতো রোববার সন্ধ্যায় গোয়াল ঘরে গরুগুলোকে খাবার দিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে উঠে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখেন দরজা ভেঙ্গে চোরেরা ২টি গাভি ও ৪টি বলদ গরু ও দুটি ছাগল চুরি করে নিয়ে যান।
যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা।
ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ জানান, এলাকায় নেশাখোর ও মোবাইল জুয়ায় আসক্ত বেড়েছে। সেই সঙ্গে নদীর পাড় এলাকায় মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যার পরে বিভিন্ন এলাকার লোক সেখানে ভীড় জমান। ওইসব এলাকায় প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর অনুরোধ করছি। আজকে মেনারুলের গরু চুরি যাওয়ায় বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বলটুকু হারিয়ে দিশেহারা পরিবারটি।
তারাগঞ্জ বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন আফান বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গরুসহ অন্যান্য চুরি হয়েছে। আগে কখনোই এ এলাকায় গরু চুরি হয়নি। ঘনবসতি এলাকা থেকে গরু চুরি হওয়াতে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে গত শনিবার ইকরচালী ইউনিয়নের দোহাজারী কওলাপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে সবুজ মিয়ার দুটি গরু গোয়াল ঘরের দরজা ভেঙ্গে চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। সবুজ জানান, গভীর রাতে আমি গরুগুলোকে খাবার ঘাঁস দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে উঠে দেখি আমার গোয়ালের দরজা ভেঙ্গে প্রায় দুই লাখ টাকার গরুগুলো চোরেরা নিয়ে গেছে।
তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এমএ ফারুক জানান, পৃথক দুটি গরু চুরির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। দ্রুত চুরি যাওয়া গরুগুলো উদ্ধার করার জন্য কাজ করছে পুলিশ।
কেকে/ এমএস