ময়মনসিংহ বনবিভাগের ভালুকা রেঞ্জের অধীনে হবিরবাড়ী মৌজার ১১০ নম্বর দাগে ২০ধারা গেজেট বিজ্ঞপ্তিত বনভূমিতে সিমানা প্রাচীর নির্মান কালে জবরদখলকারী ৫ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে স্থানীয় বনবিভাগ। উপজেলার আমতলী কামিনী ভিটা এলাকার জনৈক শামীমা নাসরিনের প্রজেক্ট থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
শনিবার (২৮জুন) বিকালে সীমানা প্রাচীর ও গেইট নির্মানের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভালুকা রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে হবিরবাড়ী বিট অফিসার আনোয়ার হোসেন খানসহ সকল ষ্টাফ অভিযান চালিয়ে ঘটনা স্থল থেকে জবরদখলীয় কোদাল, বেলচা, ইট, সিমেন্টও বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ পাঁচজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে স্থানীয় বনবিভাগ।
আটক কৃতরা হলেন ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের মৃত আবেদ আলীর ছেলে মো. সুজন মিয়া (৪০), ফেনী জেলার ছাগল নাইয়া উপজেলার পশ্চিম দেবপুর গ্রামের মো. ছামছুল হকের ছেলে মো. রহিম ইসলাম (৩০), ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার জামিরাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে মো. জজ মিয়া (৩৬), ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নেন মৃত হাসমত আলীর ছেলে মো. বিল্লাল (৪৫), ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ, উপজেলার চরআলগী গ্রামের মৃত আ. মানহাসের ছেলে মো. রিপন (৪১), কে হাতে নাতে আটক করা হয়।
হবিরবাড়ী বিট অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, হবিরবাড়ী মৌজার সি.এস ১১০ নং দাগের সরকারী গেজেট বিজ্ঞপ্তিত ও ২০ ধারার সংরক্ষিত বনভূমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে তাদের সাথে থাকা আরো ১০/১২ জন আসামি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ভালুকা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. হারুন উর রশীদ খান জানান, বনভূমি জবরদখলকারীদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা, জবরদখলকৃত বনভূমি উচ্ছেদ অভিযান অব্যহত থাকবে।
কেকে/ এমএস