ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একটি স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ভাতিজিকে তুলে নিয়ে দুইজনে পালাক্রমে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চাচা ও তার এক সহযোগীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে ভোক্তভোগী ভাতিজির বাবা বাদি হয়ে দুইজনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই প্রাথমিক তদন্ত শেষে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চাচা মো. হুমায়ূন(৩০) ও তার সহযোগী মো. কাউসার মিয়াকে(২৪) গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, গ্রেফতারকৃত চাচা হুমায়ূন উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের কুমারুলী গ্রামের প্রয়াত খোকন মিয়ার ছেলে এবং একই ইউনিয়নের কড়ইকান্দি গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া।
ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (২৫ জুন) অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আনুমানিক সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জাটিয়া ইউনিয়নের কুমারুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যেতেই ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে ভুক্তভোগী ভাতিজিকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান কাউসার মিয়া। ইজিবাইকটি মাইজবাগ ইউনিয়নের লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারে পৌঁছাতেই চাচা হুমায়ূন একই ইজিবাইকে ওঠে। পরে ইজিবাইকযোগে ভাতিজিকে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর চৌরাস্তা বাজারের (চমকিয়া বাজার) পাশে স্থানীয় নূরুল আলমের দোকানঘরে ঢুকিয়ে চাচা কাউসার ও হুমায়ূন ভাতিজিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একইদিন বিকালে পালাক্রমে ধর্ষণের পর অজ্ঞাত একটি ইজিবাইকে তুলে ওই ভাতিজিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে লিখিত অভিযাগ পাওয়ার পরপরই তৎক্ষণাৎ প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চাচা হুমায়ূন ও কাউসার মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে দুইজনকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
কেকে/এজে