পুরো ৩০ ঘণ্টা পর খোঁজ মিলেছে সেই রহস্যময়ী নারীর। ধুরুং খালের পানির এক ফুট উপরে ঝোপ-জঙ্গলে ভেসে থেকে জীবন বাঁচিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানি কমলে তার আল্লাহু আকবর শব্দে লোকজন তাকে উদ্ধার করেন। এর আগে বুধবার দুপুরে তিনি গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হন।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ধুরুং নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ রেজিয়া বেগম (৪৫) এভাবে রহস্যময়ী নারী হিসেবে উদ্ধার হয়েছেন। এর আগে তাকে হন্যে হয়ে খুঁজেছে স্বজনসহ ফায়ার সার্ভিস, উদ্ধারকারী কর্মী ও এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বিকাল তিনটার দিকে নদীতে গোসল করতে যান রেজিয়া। গোসলের সময় ব্যবহৃত নদীর পাড়ে কাপড়-সাবান থাকলেও পরে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। স্থানীয়দের ধারণা গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যান তিনি। কারণ নদীতে অথৈ পানিতে ভরা ছিল।
বিষয়টি জানাজানি হলে নদীর দু'পাড়ে উৎসুক জনতা ভীড় করতে থাকেন। নদীর বিভিন্নস্থানে তাকে তল্লাশি করে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তল্লাশিতে নামেন ফায়ার সার্ভিসের একদল ডুবুরি। কিন্তু কেউ তার খোঁজ পাননি। অবশেষে সন্ধ্যায় নদীর পানি কমলে ওই নারীর জ্ঞান ফিরে আল্লাহু আকবর বলে চিৎকার করতে থাকেন। সে সময় বাসিন্দারা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করেন। তবে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরেনি।
স্থানীয় কাঞ্চনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নদীর পানির এক হাত উপর কিছু ঝোপ-জঙ্গল থেকে তাঁকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি। তাকে সেবা-সুশ্রুষা করছি। জ্ঞান ফিরলে রহস্য জানা যাবে।’
উল্লেখ্য, তিনদিন আগে একই খালের মানিকপুর মহিষের ঘেরা এলাকায় গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হন শাহানু বেগম (৪৫) ও মুনতাহা (৮) নামের দু'ই নানি-নাতনি। নিখোঁজের চার ঘণ্টা পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কেকে/ এমএস