বাংলাদেশের জাতীয় দলের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল বলেছেন, সাকিবই বাংলাদেশের সেরা ক্রীড়া তারকা। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না। আমার মনে হয় না, সাকিবও কখনও এভাবে চিন্তা করেছে।
সোমবার (১৬ জুন) একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্বকাপে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। শেষমুহুর্তে সরে দাঁড়ালেন, অথবা সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন তামিম ইকবাল। সে মুহূর্তে একটি
টিভি চ্যানেলকে সাকিব আল হাসানের রগরগে ইন্টার্ভিউ। সেখানে একহাত নেওয়া হলো তামিম ইকবালকে। সেদিনের সেই কথাবার্তাগুলো যদি সাকিব না বলতেন, তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেট আরো ভালো জায়গায় থাকত বলে বিশ্বাস তামিমের।
তামিম সেই ঘটনা নিয়ে তো কথা বলেছেনই, সাকিবের সাথে কেন তার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এসব বিষয়েও মুখ খুলেছেন। তবে এক বাক্যে বলেছেন- সাকিবই বাংলাদেশের সেরা ক্রীড়া তারকা। তবে একটি বিষয়ের ব্যাখ্যা তিনি জানতে চান সাকিবের কাছে।
২০২৩ সালের বিশ্বকাপের আগে সাকিবের সেই সাক্ষাৎকার নিয়ে তামিম বলেন, ‘জিনিসটা কেউই ভালোভাবে নেয়নি। ওই সময়ে যা কিছু হয়েছে, তা না হলে এখন আমরা আরো ভালো জায়গায় থাকতাম। কষ্ট পাওয়ার চেয়ে বিস্মিত হয়েছিলাম বেশি। কিছু ভুল তথ্য দিয়েছে। ওখানে সাকিব একটা কথা বলেছে– আমি বেছে বেছে ম্যাচ খেলতে চেয়েছি। এটা সে কোথায় পেয়েছে? ফিজিও বলেননি, নির্বাচকরা বলেননি, আমিও বলিনি। কোনো দিন সাকিবের সঙ্গে দেখা হলে, আমরা আড্ডায় বসলে অবশ্যই বিষয়টি জানতে চাইব তাঁর কাছে।‘
তামিম মনে করেন, সাবেক বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কারণে সাকিব-তামিম দ্বন্দ্ব ও দূরত্ব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘সাকিব আর আমার ঝামেলার কথা মিডিয়া অনেক আগে থেকে জানত। খেলায় প্রভাব না পড়ায় মিডিয়া কিছু লিখেনি। বিসিবি সভাপতি প্রকাশ্যে বলে দেওয়ার পর থেকে মিডিয়া লেখা শুরু করে। ২০২৩ সালে কেন বিষয়টি সামনে এনে বিভেদ তৈরি করতে হলো?’
তবে তামিম-সাকিবের দ্বন্দ্ব যে খ্যাতির কারণে নয়, তামিম তা স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন,‘ অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না। আমার মনে হয় না, সাকিবও কখনও এভাবে চিন্তা করেছে। বন্ধুত্বের মধ্যে দূরত্ব অনেক কারণেই হতে পারে। তবে আমাদের মধ্যে সৃষ্ট দূরত্ব ঘোচাতে বিসিবি থেকে কেউ চেষ্টা করেননি। তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি।‘
তামিম অবশ্য বিশ্বাস করেন, ভবিষ্যতে কোনো না কোনো এক সময়ে ঘুচে যাবে দুই বন্ধুর সব দূরত্ব।
কেকে/এআর