গোটা জাতি আজ লন্ডনের দিকে তাকিয়ে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকটি একটি ঐতিহাসিক বৈঠক হবে এবং এ বৈঠকের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বইবে বলে বিশ্বাস করি। এরইমধ্যে ডিসেম্বরে নির্বাচনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে বিএনপি। যৌক্তিক সময়েই নির্বাচন হবে বলে জাতি প্রত্যাশা করে। আলোচনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনসহ সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের প্রতি ভয়ংকর বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার পতনের তারা হিংস্র হয়ে উঠেছে। বিদেশি তকমা দিয়ে প্রতিদিন পুশইন হচ্ছে। পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া লাগানোর প্রচেষ্টা। সীমান্ত এলাকায় পুশইনের হিড়িক লেগেছে। বাংলাদেশ কি বর্জ্য ফেলার স্থান? দেশের লোককে বিদেশি বানিয়ে ভারত বাংলাদেশে পুশইন করতে চাইলে প্রতিবাদের পাশাপাশি প্রতিরোধ করবে বাংলাদেশ। ভারতকে মনে রাখতে হবে অত্যাচার-নিপীড়ন করে শেখ হাসিনাও টিকে থাকতে পারেনি।
সম্প্রতি করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ভারতে এরইমধ্যে ৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাদেশেও আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এরইমধ্যে একজন মারাও গেছেন। এ বিষয়ে সরকারকে দ্রুত করণীয় নির্ধারন করে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাই। পাশাপাশি ডেঙ্গুও মারাত্মক রূপ নিয়েছে, জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে।
সুরক্ষার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন রিজভী। এর জন্য সরকারের সঙ্গে জনগণকে আরও সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
ঈদযাত্রাকে ঘিরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৫৭ জন মৃত্যুর সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য এই দুর্ঘটনা বেড়েছে। এছাড়াও ঈদে সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্যও ছিল। নির্ভয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত ঈদ উদযাপন আনন্দের ছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দেখা গেছে। প্রশাসন আরও তৎপর হলে তা কমানো সম্ভব হতো।
কেকে/এআর