বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং এলাকার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ভিপি আব্দুল মান্নান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে হেরে গেলেন। তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি কখনো মন্ত্রী, এমপি বা কোনো জনপ্রতিনিধি ছিলেন না। ছিলেন বাঞ্ছারামপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রথম নির্বাচিত ভিপি(১৯৮৮)। সাদা একটি লুঙ্গি পরে পুরনো মোটরবাইক নিয়ে গোটা উপজেলায় খোজ খবর নিতেন বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। তিনি রাজধানী কেন্দ্রীক রাজনীতি করতেন না, বরং ঢাকার বিএনপির নেতারা বাঞ্ছারামপুরে ছুটে আসতেন ভিপি মান্নানের দোয়া নিতে।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ও কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির সংগঠনিক কাঠামো গঠনে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অসামান্য অবদান ছিল। রাজনৈতিক জীবন ছাড়াও একজন সজ্জন, সৎ ও নীতিবান মানুষ হিসেবে সকল দলের, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে তিনি ছিলেন শ্রদ্ধার পাত্র।
তার এই অকালপ্রয়াণে বাঞ্ছারামপুরে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন।
বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণও মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) বাদ জোহর পৌর এলাকার দশদোনা উচ্চ বিদ্যালয়ে মরহুম ভিপি মান্নানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় হাজারো নেতাকর্মী ও গ্রামবাসী অংশ নেয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কচি মোল্লা, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এম এ খালেক।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপি উপদেষ্টা মেজর (অব.) সাইদ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বাবুল মিয়া, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, বিএনপি নেতা ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ড. সায়েদুজ্জামান কামাল, ডা. রফিকুল ইসলাম খোকন, ইঞ্জিনিয়ার দবির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দীন জিয়া, পৌর বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য এমদাদুল হক সাইদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য ছালে মুছা, জেলা বিএনপির সহআইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মহসিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ম.ম ইলিয়াস, বিএনপি নেতা ভিপি মজিব, ভিপি সাজ্জাদ, অ্যাডভোকেট জামাল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, ভিপি নাজমুল হুদা, হারুন আকাশ, কৃষিবিদ ড.কামারুল হক প্রমূখ।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে যান। যারা প্রত্যেকেই প্রবাসে অবস্থান করছেন।
কেকে/এজে