আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে। শেষ মুহূর্তে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লেও পাটুরিয়া ঘাটে তেমন কোনো ভোগান্তির চিত্র দেখা যায়নি।
বর্তমানে যাত্রী ও যানবাহনের নির্বিঘ্ন পারাপার নিশ্চিত করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ২২টি ফেরি চালু রয়েছে। এছাড়া পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ১৮টি ও আরিচা-কাজিরহাট রুটে ১৩টি লঞ্চ নিয়মিতভাবে যাত্রী পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে। ফলে এবারের ঈদযাত্রা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেকটা স্বস্তিদায়ক বলেই মনে করছেন যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসি’র তথ্যমতে, পদ্মা সেতু চালুর পর নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কিছুটা কমে এলেও ঈদসহ বড় উৎসবের সময় সেই চাপ আবারো বেড়ে যায়। তবে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফেরি থাকায় বিগত কয়েকটি ঈদে যাত্রী পারাপারে কোনো বড় ধরনের সমস্যা হয়নি। এবারো একই ধরনের পরিস্থিতি থাকবে বলে আশাবাদী সংস্থাটি।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাম হোসেন বলেন, পদ্মা নদীতে পানি বাড়ায় প্রবল স্রোতের কারণে বর্তমানে ফেরি চলাচলে দ্বিগুণ সময় লাগছে। তবে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও যাত্রী পারাপার নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
কেকে/ এমএস