দীর্ঘ ১৩মাস পর বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় পর্যটকদের জন্য সীমিত আকারে শর্ত সাপেক্ষে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সমন্বয় সংক্রান্ত কোর কমিটির সভার সিদ্ধান্ত ও সদর দপ্তর ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড বান্দরবান সেনানিবাসের পত্রের আলোকে ৬ জুন হতে রুমা উপজেলার বগালেক পর্যন্ত এবং থানচি উপজেলার তমাতুঙ্গী পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হল।
বিজ্ঞপ্তিতে ৫টি শর্ত আরোপ করা হয়। সেগুলো হলো সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় উপর্যুক্ত স্থান ব্যতীত রুমা ও থানচি উপজেলার অন্য জায়গায় পর্যটকদের গমনাগমন নিষিদ্ধ থাকবে, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের নিবন্ধিত টুরিস্ট গাইড ব্যতীত ভ্রমণ করা যাবে , পর্যটন কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট চেকপোস্ট /পর্যটক তথ্য সেবা কেন্দ্রে চাহিত তথ্য অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে,পর্যটক কর্তৃক উপযুক্ত নির্দেশনাসমুহ অমান্য করা হলে/অমান্য করতে উদ্যত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ /নিকটবর্তী সেনা ক্যাম্প/পোস্টকে অবগত করতে হবে,অযাচিত যেকোন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পর্যটন সংস্থার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পর্যটন শিল্পের উপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
এদিকে দীর্ঘদিন পর বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় খুশি পর্যটন ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করে টাকা লুট এবং পার্বত্য এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বেড়ে যাওয়ায় যৌথ অভিযানের কারণে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা ও থানচি উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটকদের ভ্রমণে ২০২৪ সালের ১২ এপ্রিল থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রশাসন। আর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়ে দুই উপজেলার অসংখ্য হোটেল-মোটেলের কর্মচারী, পরিবহন শ্রমিক, টুরিস্ট গাইড, বোট চালকসহ পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত কয়েকশ শ্রমিক।
কেকে/ এমএস