প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ।
বুধবার (৪ জুন) সকাল থেকেই গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং চান্দনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাড়তে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষের চাপ।
গাজীপুরে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত কোথাও বড় ধরনের যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বিকালের দিকে চাপ আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গাজীপুরের ২ হাজার ১৭৬টি নিবন্ধিত পোশাক কারখানার মধ্যে আজ প্রায় ৪০ শতাংশ কারখানা ছুটিতে গেছে। এর আগে মঙ্গলবার ১০ শতাংশ কারখানা ছুটি পায় এবং আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আরো ৫০ শতাংশ কারখানায় ছুটি শুরু হবে। ফলে আজ বিকাল থেকে মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চন্দ্রা ত্রিমোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক যাত্রী ব্যাগ, বস্তা নিয়ে যানবাহনের অপেক্ষায় রয়েছেন। পরিবহন সংকট না থাকলেও ভাড়া কিছুটা বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। তবে দর-কষাকষি করে অনেকেই বাড়ির পথে রওনা হচ্ছেন।
একতা পরিবহনের চালকের সহকারী মো. শাহিন মিয়া বলেন, সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। দুপুরের পর তা আরো বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকাতুল আলম খোলা কাগজকে বলেন, যানজট এড়াতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে কিছুটা চাপ থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কেকে/এএস