সপ্তাহ ব্যবধানে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া ও শ্রীপুর উপজেলা থেকে ১৭টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। জেলার দুটি উপজেলার গো খামারিদের সঙ্গে কথা বলে এসব গরু চুরি তথ্য জানা যায়।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভোর রাতে উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের হায়াতখারচালা গ্রাম থেকে পাঁচটি গরু চুরির ঘটনা ঘটে।
গো খামারি ইউসুফ আলী বলেন, দেওয়াল টপকে চোরের দল আমার কর্মচারীকে চেতনানাশক স্প্রে করে আমার পাঁচটি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। শ্রীপুর থানার ওসি মহাম্মদ আব্দুল বারিক খোলা কাগজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো খামারির অভিযোগ পায়নি তবে আমি স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নেব।
এদিকে, কাপাসিয়া উপজেলার রাউতকোনা গ্রামের জমসের আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম খোলা কাগজকে জানান, গত বুধবার রাতে আমার গোয়ালঘর থেকে তিনটি গাভি চুরি হইছে। পনেরো লিটার দুধ বিক্রি করতে পারতাম।
এছাড়াও, গত সোমবার উপজেলার কপালশ্বর গ্রামের আলম মিয়ার ১টি, নুরুল ইসলামের ১টি ও বিল্লাল মিয়ার ২টি গরু চুরি হইছে।
ভুক্তভোগী বিল্লাল মিয়া জানান, রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে এই চুরি হতে পারে। তিনি বলেন, আলম মিয়ার ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ষাঁড়, নুর ইসলামের দেড় লাখ টাকা মূল্যের একটি গাভি ও আমার ৩ লাখ টাকা মূল্যের ২টা গাভি চুরি হইছে।
নুরুল ইসলাম বলেন, চুরির ঘটনায় মামলা করিনি। তবে আমি চাই এভাবে আর কোনো পরিবার যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
উপজেলার বামনখলা গ্রামের আবুল কাশেম সিকদার জানান, গত বুধবার রাতে আমার ২টা গাভি চুরি করে নিয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী নবীপুর গ্রামের ছলিম উদ্দিনেরও ২টা গরু চুরি হইছে।
উপজেলার কান্দানিয়া গ্রামের মনো মিয়া জানান, গত মঙ্গলবার ২ লাখ টাকা মূল্যের ১ গরু চুরি করে নিয়ে গেছে।
উপজেলার পাবুর গ্রামের খামারি সাকিল হাসান মোড়ল জানান, ঈদ সামনে রেখে গরু চুরি বেড়েছে। আমার ফার্মে ১০ লাখ টাকা মূল্যের গরু নিয়ে আতঙ্কে রাত পার করছি।
যোগাযোগ করা হলে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল খোলা কাগজকে বলেন, বিষয়টি আমাকে এখনো কেউ জানায়নি। এখনই জানলাম। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব। এর আগে, কাপাসিয়া থানার ওসি খোলা কাগজকে বলেন, দিবালোকে কাপাসিয়া থেকে গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে ধরা পড়েছে চোরের ৫ সদস্য। আটককৃত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কেকে/এএস