নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিণ কদমতলী এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে আব্দুল্লাহ খান পায়েল (১৬) নামে কিশোর নিহত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৩ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কদমতলী সাকিনস্থ ডিএনডি লেকপাড় এলাকায় হৃদয়ের ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে স্বজনরা তাকে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে আটজনসহ অজ্ঞাত আরো সাত থেকে আটজনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন—গজারিয়া থানার টেংগারচর এলাকার মৃত আলী আহম্মদের ছেলে হৃদয় ওরফে পাইটু হৃদয় (১৫), মো. মেহেদী (১৫), শুভ (১৫), গোদনাইল এলাকার মো. আ. সামাদের ছেলে মো. হৃদয় (৩০), মো. ফারুকের ছেলে মো. সাব্বির (১৮), দক্ষিণ কদমতলী এলাকার দুলালের ছেলে মো. আতিক (২২), মো. আবুল কাশেম ওরফে চেয়ারম্যান কাশেমের ছেলে মো. জাহিদ (১৮) ও মনির হোসেনের ছেলে আল আমিন (২০)।
ইতোমধ্যে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত এজাহারভুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহিনুর আলম।
নিহতের বাবা মাহমুদ আল শামীম বলেন, তাদের একটি ওয়ার্কশপ রয়েছে। সে আমার সঙ্গে সেখানে কাজ করত। আজ আমি বাসায় ছিলাম। ছেলে বাসা থেকে বিকালে বের হয়েছিল। পরে সন্ধ্যার দিকে সংবাদ পাই, কে বা কারা তাকে লেক পাড় এলাকায় ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে গেছে। সেখান থেকে লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে তাকে গুরুতর অবস্থায় দেখতে পাই। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তার আমার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ওই যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা চারজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কেকে/এএম