ভারতীয় মুসলিম নাগরিককে রোহিঙ্গা ভেবে পুশইনের ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার খাটিয়ামারী সীমান্তে এ উত্তেজনার ঘটনা ঘটে।
সোমবার ( ১৯ মে) সন্ধ্যার দিকে ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম।
শফিকুল ইসলাম জানান, রোববার বিকাল ৪টার দিকে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে খাটিয়ামারী সীমান্ত এলাকার বোনের বাড়িতে আসেন ভারতীয় মুসলিম (নারী) নাগরিক। পরে কে বা কারা ওই বাড়িতে রোহিঙ্গা রয়েছে বলে বিজিবিকে সংবাদ দেন। পরে ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খাটিয়ামারী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০৬৩-৩-এস সাব পিলার ভারতের জোরডাঙ্গা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের কাছে রোহিঙ্গা সন্দেহে ওই ভারতীয় (নারী) নাগরিককে ফেরৎ দিতে চেষ্টা করে বিজিবি। চেষ্টাকালে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গোলাগুলির প্রস্তুতি নেন উভয় পক্ষের মধ্যে। কিন্তুগুলি ছোড়েনি কেউ। তাৎক্ষণিক সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে।
স্থানীয় ওই ইউপি সদস্য আরো জানান, খাটিয়ামারী এলাকার আনিছ জামালের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছোট বোন। তিনি ভারতীয় নাগরিক।
ঘটনাটি নিয়ে কথা হয় বিজিবির ৩৫ জামালপুর ব্যাটালিয়নের রৌমারী সদর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সোহেল রানার সঙ্গে। তিনি জানান, বাংলাদেশে ওই নারীর বিয়ে হয়েছে। এটি পুশইনের ঘটনা নয়।
তিনি আরো বলেন, ওই নারী আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০৬৩-৩-এস সাব পিলারের কাছের গেইট দিয়ে আসছিল। আবার ওই গেইট দিয়েই ভারতে চলে গেছে ওই নারী।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমান্তের ওই গেইট সব সময় খোলা থাকে বলে ফোন কলটি কেটে দেন তিনি।
কেকে/ এমএস