তাবলীগ জামাতের চলমান বিভাজনের প্রেক্ষাপটে অনলাইন হয়রানির শিকার হন সংগঠনটির বাংলাদেশ শুরা-পন্থী শাখার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান। অতিরিক্ত রিপোর্ট ও সাইবার হামলার ফলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার আইডি সাময়িকভাবে ডিজেবল করে দেয়। অবশেষে তার আইডি উদ্ধার এবং ফেসবুক অফিসিয়ালি ভেরিফাইড করা হয়েছে।
তাবলীগ জামাতের চলমান বিভাজনের প্রেক্ষাপটে অনলাইন হয়রানির শিকার হন সংগঠনটির বাংলাদেশ শুরা-পন্থী শাখার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান। অতিরিক্ত রিপোর্ট ও সাইবার হামলার ফলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার আইডি সাময়িকভাবে ডিজেবল করে দেয়। তবে চারদিন পর সাংবাদিক ও সহকর্মীদের সহযোগিতায় আইডিটি পুনরুদ্ধার করেছেন তিনি। এরই মধ্যে আইডিটি ফেসবুক থেকে অফিসিয়ালি ভেরিফাইড করা হয়েছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, দিল্লির মাওলানা সাদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট মতভেদ ও সংকটের প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় হওয়ার পর থেকেই একটি মহল তার ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে “অতিরিক্ত রিপোর্ট” শুরু করে।
তিনি বলেন, “আমরা মূলত মিডিয়াবিমুখ ছিলাম। কিন্তু সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির প্রয়োজনে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় হই। তখন থেকেই সাইবার আক্রমণ শুরু হয়।”
তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ সংকট নিয়ে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, “বিশ্বব্যাপী তিনটি কারণে তাবলীগের ভিতরে গভীর সংকট দেখা দেয়-
১. ঐতিহ্যগত শুরা পদ্ধতি ভেঙে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা
২. মাওলানা সাদের বিতর্কিত বক্তব্য
৩. পরামর্শ উপেক্ষা করে কাঠামোগত পরিবর্তন।”
তিনি দাবি করেন, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর এবং ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাতে সাদপন্থীদের হামলায় নিরীহ তাবলীগের সাথী ও ওলামায়ে কেরাম আহত হন, এমনকি প্রাণহানিও ঘটে। প্রশাসনের নিষেধ সত্ত্বেও এসব হামলা সংগঠিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
কেকে/এআর