মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫,
২৯ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারল বাংলাদেশ      এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে : সারজিস      সোমবারের উল্লেখযোগ্য সংবাদ      ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম      জেন-জি বিক্ষোভের মুখে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট      ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছি, ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছি       এবার ‘শাপলা’ প্রতীক চাইল বাংলাদেশ কংগ্রেস      
দেশজুড়ে
গঙ্গাচড়ায় তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ১২:২৩ পিএম আপডেট: ১২.০৫.২০২৫ ১২:৩৩ পিএম
অসময়ে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি ক্ষেত। ছবিটি লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: খোলা কাগজ

অসময়ে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি ক্ষেত। ছবিটি লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: খোলা কাগজ

তিস্তা নদীতে তেমন কোনো পানি প্রবাহ না থাকলেও শুষ্ক মৌসুমেই রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দেখা দিয়েছে তিস্তার ভাঙন। এতে  গত দুই মাসে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অন্তত ৫০ একর ফসলি জমি।

উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ গ্রামে ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তিস্তার  চলমান ভাঙনে একের পর এক বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। গত দুই মাসে উঠতি ফসল ভুট্টা, গম ও মিষ্টি কুমড়াসহ অন্তত ৫০ একর ফসলি জমি ও ১০ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে।

শংকরদহ এলাকার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হামার (আমার) আর কিছু নাই বাহে, আগের বার বাড়ি ভাঙি গেইছে। মাইনেষর জমিত বাড়ি করি আছি। এবার হামার আবাদি জমি কোনাও ভাঙি গেল। ভুট্টা গাড়ছেনো (রোপণ), সেই ভুট্টাও নাই, পুরাট (পরিপক্ব) হইতে হইতে নদীত ভাঙি যাওয়া শুরু হয়েছে।’

কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, ‘প্রায় ২ মাস থাকি ভাঙেচোল। বাবা, এগলা (এগুলো) দেখার হামার কায়ো (কেউ) নাই।
কী আর করমো, হামার কপালোত দুঃখ লেখি রাখছে। হামার নদী বান্দীও (বেঁধেও) কায়ো দেয় না। হামার শীত বর্ষা কী সউগ (সব) সময় নদী ভাঙে।”

ইউপি সদস্য রমজান আলী জানান, শংকরদহ গ্রামে প্রায় ৪৫০ পরিবারের বাস ছিল। কয়েক বছরে বন্যাসহ তিস্তার ভাঙনে সব হারিয়ে পরিবারগুলো এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাকি ছিল প্রায় ৮০ পরিবার, অসময়ে নদীভাঙনে গত দুই মাসে প্রায় ১০ পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। চোখের সামনে প্রতিনিয়ত বিলীন হচ্ছে ফসলের ক্ষেত।

লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, অব্যাহত ভাঙনে শংকরদহ গ্রামটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। ভাঙন এসে ঠেকেছে রংপুর-কাকিনা সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার দূরে। এখনি ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে আসন্ন বর্ষায় হুমকিতে পড়বে সড়কটি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, সরেজমিনে দেখার পর ভাঙন রোধের ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি দ্রুতই ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, গঙ্গাচড়ার শংকরদহ এলাকায় অসময়ে তিস্তার ভাঙন শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে ভাঙনরোধে কাজ শুরু হবে।

কেকে/এএস
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারল বাংলাদেশ
এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে : সারজিস
অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্প মোকাবেলায় সাহস ও সচেতনতা জরুরি
রোনালদোয় মুগ্ধ এমবাপে
চলে গেলেন কালাচাঁদ মিয়া, মির্জা ফখরুলের শোক

সর্বাধিক পঠিত

আমিরাতে ‘প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ’ শুরু ৭ নভেম্বর
জালিয়াতি মামলায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার
মহম্মদপুরের ৭০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি
এবার ‘শাপলা’ প্রতীক চাইল বাংলাদেশ কংগ্রেস
গাজীপুরে বন্ধ করার পরও আবার শুরু লটারির মেলা

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close