কুষ্টিয়ায় ৭ দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন প্লাইউড,পার্টিকেল বোর্ডসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান এমআরএস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে শহরতলীর বিসিক শিল্প নগরী এলাকার কারখানায় প্রবেশের পর কাজ না করে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন কারখানাটির শ্রমিকরা। এ সময় তারা ৭ দফা দাবি পেশ করেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগদান করবে না বলে ঘোষণা দেন।
এ সময় প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) জাহাঙ্গীর আলম,প্রশাসনিক কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফ ও মেইনটেন্যান্স প্রকৌশলী মকিবুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এদের মধ্যে একজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তীতে বৈঠকে মালিক পক্ষের প্রতিশ্রুতি পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শ্রমিকরা তাদের কর্মবিরতি তুলে নিয়ে পুনরায় কাজে যোগ দেন।
এমআরএস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী বিআরবির অধীনে প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে আছেন শামসুর রহমান।
শ্রমিকরা বেতন-ভাতা মূল প্রতিষ্ঠান বিআরবি গ্রুপে কর্মরত শ্রমিকদের সাথে সমন্বয় করা, ওভার টাইম বিল প্রদান, ছুটির ব্যবস্থা,চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে স্থায়ী নিয়োগসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন।
আন্দোলনে থাকা শ্রমিকেরা বলেন, আমাদের পেশকৃত দাবি পূরণের সময় বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত বেধে দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে আরো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেওয়া হয়। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারসহ তিনজনকে মারধর করে। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিআরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান পাঁচজন শ্রমিক প্রতিনিধি নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে দাবিদাওয়া শুনে তিনি তা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিলে সাড়ে ৬টার দিকে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেই।
এ বিষয়ে জানতে এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচাল শামসুর রহমানের মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।
তবে এক কর্মকর্তা বলেন, কাঁচামালের অভাবে মাসের অধিকাংশ দিন প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বন্ধ থাকে। এর মধ্যে গ্রুপের প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি পেলেও এমআরএস শ্রমিকদের বাড়েনি। সেই দাবিতে তারা আন্দোলন করছে। এ সময় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদেরও মারধর করেছে। একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কেকে/এএম