গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ফসলের মাঠজুড়ে কৃষকের ফলানো ধানের ছড়াছড়ি। দিগন্তজোড়া মাঠ সেজেছে সোনালি-হলুদ ধানের রঙে। ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক কৃষাণীরা। ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন তারা। এ যেন এক অন্যরকম আনন্দ উৎসবে।
জমিতে ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক। জমি থেকে গরু মহিষের গাড়ি দিয়ে বাড়িতে আনছেন। ধান মাড়াইয়ের পর কৃষাণী রোদে ধান শোকাচ্ছেন। রাত জেগে ধান সিদ্ধ করছেন। দিনে আবার সিদ্ধ ধান রোদে শোকাচ্ছেন। যেন দম ফেলার সময় নেই কৃষক-কৃষাণীর।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, বোরোধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৩৯৪৫ হেক্টর আবাদ হয়েছে ১৩৯৫০ হেক্টর এর থেকে বোরোধান কর্তন হয়েছে ৩০% পাকা আছে ২৭% দানা আছে ৪০% দুধ আছে ৩% এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরোধান আবাদ ভালো হয়েছে। আমাদের কিছু ইউনিয়ন এ কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দ্বারা বোরোধান কর্তন হচ্ছে।
অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও মাঠ পর্যায়ের তদারকির কারণে চলতি বোরে মৌসুমে এবারে কাপাসিয়া উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে চারদিকে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। মাঠে মাঠে সোনার ধান দেখে হাসি ফুটছে কৃষকের মুখে। দিনরাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছেন কৃষকরা। সকালে কাঁচি হাতে বের হয়ে ধান কাটা শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসেন কৃষক। কাটা ধান জমিতেই মেশিন দিয়ে মাড়াই করছেন। মনের আনন্দে কৃষাণী সেই ধান ঘরে তুলছেন। এবার বোরে ধানের ফলনের রেকর্ড ছাড়াবে বলে আশা করেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা।
উপজেলার টোক ইউনিয়নের কৃষক হাফিজ উদ্দিন হিরণ বলেন এইবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনে তারা বেজায় খুশি। চাঁদপুর ইউনিয়নের কৃষক শামসুদ্দিন বলেন,বোরো ধানের বাম্পার ফলনে আমরা খুব খুশি। দিনাজপুর থেকে ধান কাটার শ্রমিক মান্নান, বারিক বলেন, আমরা বোরো ধান কাটা শুরু করছি। রোজ ৯শ থেকে ১১ শ টাকা দরে ধান কাটতাছি। চুক্তিতে বিঘাপ্রতি ৬ হাজার থেকে ৬ হাজার ৫শ টাকা দুবেলা খাবারে ধান কাটছি।
কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমন কুমার বসাক বলেন, উপজেলায় পুরোদমে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কারণ সময়মতো সার ও বীজের পর্যাপ্ত সরবরাহ, মাঠ পর্যায়ে তদারকি, কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শের কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফলন বেশি হয়েছে।
কেকে/এএস