ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ গ্রামের রফিকুল ইসলাম একজন সফল সমাজ সেবক। তিনি ১৯৭৮ সালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ গ্রামের সরকার বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার মো. বাচ্চু মিয়া একজন আনসার ভিডিপির সদস্য ও মা গৃহিণী।
রফিকুল ইসলাম রফিক ১৯৯৮ সালে এসএসসি পাস করেন। ছোট সময় থেকেই এলাকার নানান উন্নয়ন কাজে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে সমাজ সেবা শুরু করেন। রফিকুল ইসলাম সব সময় এলাকার জনগণের ভালো-মন্দ খোঁজ-খবর রাখেন। তিনি মনে করেন, এলাকার মানুষ ভালো থাকলেই তিনি ভালো থাকেন। তার এই সামাজিক জনবান্ধব কর্মকান্ডের সুবাধে ২০১১ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটের মাধ্যমে ছলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নির্বাচিত হন। তারপর থেকে রফিকুল ইসলামকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। বিগত সময়ে তিনি ছলিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক মেম্বার ছিলেন।
গত ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে শত প্রতিকূলতার মাঝেও দ্বিতীয় বার ছলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নির্বাচিত হন। তার জনপ্রিয়তা এত বেশি যে এই পর্যন্ত যতবার তিনি নির্বাচন করেছেন ততবারই জনগণ তাকে ভোটের মাধ্যমে জয়ী করেছেন। তিনি তার মেধা ও দক্ষতা দিয়ে আজ বাঞ্ছারামপুরের ১৩ ইউনিয়নের মধ্যে ১৭ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন, ছলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কার থেকে শুরু করে যত উন্নয়ন মূলক কাজ আছে তা করার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
রফিকুল ইসলাম রফিক মেম্বার এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ছলিমাবাদ সাহেবনগর কবরস্থানের ব্যাপক উন্নয়ন করেন। প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি দৃষ্টিনন্দন কবরস্থান করে এলাকার মানুষের আস্থা অর্জন করেন। এলাকাবাসী তার এই কর্মকান্ডে অতন্ত্য খুশি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর চিন্তা চেতনা সব সময় জনগণের কল্যাণে। তিনি চিন্তা করেন যে, ছলিমাবাদ ইউনিয়নকে আধুনিক ও উন্নত ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলবেন। এলাকার শিক্ষা বিস্তারের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও বিশেষ খেয়াল রাখেন।
বর্তমান যুব সমাজ মাদকাসক্তির কারণে ধ্বংসের পথে। সেই মাদকের কড়াল ঘ্রাস থেকে যুব সমাজকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালার মাধ্যমে সচেতন করে গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। যুব সমাজকে সঠিক পথে আগলে রাখার জন্য খেলাধুলার পাশাপাশি সবুজ বনায়ন কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে সমাজকে সঠিক ও আদর্শ যুব সমাজে পরিণত করবেন।
রফিকুল ইসলাম একজন সাদা মনের মানুষ। তিনি প্রতিটি মসজিদ, ঈদগাহ, কবরস্থান ও মাদ্রাসার কাজ হাতে নিয়েছেন। তার প্রচেষ্টায় ছলিমাবাদ ইউনিয়নের সার্বিক উন্নতি হবে বলে এলাকাবাসী মনে করেন। তিনি চিন্তা করেন যে, দায়িত্ব যতদিন আছে ততদিন তিনি ছলিমাবাদবাসীকে সর্বোচ্চ সেবাটুকু দিয়ে যাবেন।
তিনি সকলের কাছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাদক নির্মূলে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।
কেকে/ এমএস