আগামী ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।
শুক্রবার (২ মে) দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) দ্বিতীয় ধাপের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা পদ্ধতি কেবল পাঠদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষাক্ষেত্রে যেসব উপকরণ আছে যেমন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য আমরা বেশ কয়েকটি প্রকল্পের আওতায় কাজ শুরু করেছি। নতুন নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে, আধুনিক ল্যাবরেটরির কাজ হচ্ছে, কম্পিউটার ল্যাবরেটরির কাজ হচ্ছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক বা একাধিক মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করতে কাজ করছি। ইতোমধ্যে আছে, আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছি।’
বই সংকট নিরসরে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন গতবছর একদম শেষ সময়ে এসে আমাদের বইয়ের কারিকুলামে পরিবর্তন করতে হয়েছে। ফলে বই মুদ্রণের কাজটা আমরা দেরিতে শুরু করেছি। কিন্তু দেখবেন বিগত ২০ বছরের ইতিহাসে ২০১৭ সাল ছাড়া একটি বছরও এপ্রিল মাসের আগে পুরোপুরি বই বিতরণ করা যায়নি।
এ বছর কিন্তু আমরা ২০ মার্চের আগে সব প্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছে দিয়েছি। যেহেতু রমজান মাস ছিল সব বাচ্চারা স্কুলে আসেনি তাই তারা বই পেয়েছে স্কুল ছুটির পরে। তবে আগামী বছরের জন্য আমরা এমনভাবে পরিকল্পনা সাজিয়েছি যেন এ বছর ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষার শেষ দিন শিক্ষার্থীরা বই নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে।
সুবিপ্রবির স্থায়ী ভবনের কাজ কবে শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলাদা একটি প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ করেছি। জমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন এবং মাস্টারপ্ল্যানিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এরপরে আমরা অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ শুরু করব। তবে এই মুহূর্তে আমি সুনির্দিষ্টভাবে তারিখ, সময় বলতে পারছি না।’
এ সময় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিন, ডিন হারুন অর রশিদ, প্রক্টর ড. শেখ আব্দুল লতিফসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সিলেট বিভাগের একমাত্র পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সুবিপ্রবি) আজ দ্বিতীয় ধাপে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ‘বি’ ইউনিটের ৯শ ২২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮শ ১৬ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশ নেন।
উপস্থিতির হার ৮৮ দশমিক ৫ জন। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল প্রথম ধাপে 'সি' ইউনিটে ২২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৯৫ জন ভর্তিচ্ছু অংশ নেন। এছাড়া আগামী ৯ মে ৩য় ধাপে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ২ হাজার ৮শ ৫৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।
কেকে/এএস