বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫,
২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: আন্দোলনরত শিক্ষকরা কাজে না ফিরলে আইনি ব্যবস্থা      রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ইসিকে তফসিল দেওয়ার আহ্বান নাহিদের      খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা      অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে জিরো টলারেন্স নিশ্চিত করতে হবে : উপদেষ্টা ফরিদা      প্রবাসীরা ৬০ দিনের বেশি দেশে থাকলে ফোন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে      এভারকেয়ারের পাশে সেনা-বিমান বাহিনীর মহড়ায় বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ      শীত নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর      
দেশজুড়ে
কাপাসিয়ায় জৈব সারে ধানের বাম্পার ফলন
শরিফ শিকদার, কাপাসিয়া (গাজীপুর)
প্রকাশ: রোববার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:২১ পিএম
ছবি: খোলা কাগজ

ছবি: খোলা কাগজ

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় শতাধিক কৃষক কীটনাশক ব্যবহার না করে জৈব সারে ১০০ একর জমিতে বোরো ধানের আাবাদ করেছে। এসব ফসলি জমিতে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানায় কৃষকেরা।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলায় তরগাঁও, রায়েদ, সুর্যনারায়ণপুর ও পাবুর এলাকায় ১২৫ জন কৃষকের প্রায় ১০০ একর জমিতে কীটনাশক ছাড়া জৈব সারে এ বছর বুরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
 
তরগাঁও গ্রামের কৃষক সাহিদা বেগম, লতাপাতা গ্রামের কৃষক নিপা আক্তার বলেন, রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে পোকায় বেশি আক্রমণ করে। আমরা রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে জৈব সার ব্যবহার করে এবার সর্বোচ্চ ফলন পেয়েছি।

এভাবে পরিশ্রম কম হয় এবং বেশ লাভজনক। অন্য বছর বিঘাপ্রতি ১৮ মণ ধান উতপাদন হয়েছে। এবার বিঘাপ্রতি ধান পেয়েছি ২২ থেকে ২৫ মণ। এবার জৈব সার ব্যবহারে কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়নি। এতে ফসল উৎপাদনে খরচ কম হইছে, ধান বেশি পাইছি।
 
উপজেলার তরগাঁও গ্রামের সেচ পাম্প ম্যনেজার রাকিবুল ইসলাম বাবু বলেন, আমি নিজেই গত দুই বছর জৈব সার ব্যবহার করেছি। আমার ধানের খুব ভালো ফলন হইছে। আমি গত বছর বিঘা প্রতি জমিতে ২৫ থেকে  ৩০ মণ ধান উঠাতে পারছি। এবারও তাই হবে আশা করছি। আমার সেচ প্রকল্পের অধীনে এই গ্রামে আরো ৫০ জন কৃষক জৈব সার ব্যবহার করে একই ভাবে বোরো ধান চাষ করেছে।

শ্যামল বাংলা কৃষি ফার্ম লিমিটেড ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এডিশনাল সেক্রেটারি (অব) মো. মাহফুজুল কাদের বলেন, আমি  ২০১৫ সালে কাপাসিয়া উপজেলা শহর ও বাজারের আশপাশে যেসব বর্জ্য দুর্গন্ধ ছড়ায় ও পরিবেশ দূষণ করে সেগুলো দিয়ে আমি একটি বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র চালু করেছি। প্রথমে ১০ জন কৃষককে জৈব সারের ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছিলাম। বর্তমানে ১২৫ কৃষক কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার ব্যবহার করে ভালো ফসল উৎপাদন করেছে।

তিনি বলেন, আমি শুধু বর্জ্য নয়, একই সঙ্গে গরু জবাইয়ের পর গরুর উচ্ছিষ্ট হার, চিটাগুড়সহ নানা উপকরণ মিশিয়ে জৈব সার তৈরি করছি। এটাতে ফসলে শুধু ১০০ কেজির সঙ্গে শুধুমাত্র ২০ কেজি ইউরিয়া সার ব্যবহার করলেই হয়।

কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন কুমার বশাক খোলা কাগজকে  বলেন, কাপাসিয়া উপজেলা চার শত বিঘার বেশি জমিতে জৈব সার ব্যবহার করছে কৃষকেরা। জৈব সার ব্যবহার করলে রাসায়নিক সারের চাহিদা কমে। এমনকি একটানা তিন চার বছর জৈব সার ব্যবহার করলে অনেক ক্ষেত্রে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োজন পড়ে না।

কেকে/এএস

মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

হামজা-শমিতদের ম্যাচ থেকে ৪ কোটির বেশি আয় বাফুফের
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে যোগ দিলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার
চিরিরবন্দরে বাস–ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৩
দশমিনায় মৎস্য মেরিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

সর্বাধিক পঠিত

বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বান্দরবানে প্রার্থনা সভা
ফটিকছড়িতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান
সাভারে টিভি সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরসি'র আত্মপ্রকাশ
চিরিরবন্দরে বাস–ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২
বিএনপি নেতার পুকুরে বিষপ্রয়োগ

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close