মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় দীনেশ চন্দ্র সরকার নামে মৌলভীবাজারের এক পল্লী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ১টায় শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ রোডস্থ রেলগেট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল আনুমানিক বেলা ১টার দিকে রেললাইন এলাকার জননী নার্সারির সামনে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধ চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত অবস্থায় পড়েছিলেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে ওই বৃদ্ধকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের কর্মী আকতার মিয়া দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, বেলা ১টার দিকে আমরা খবর পেলাম, ভানুগাছ রোড রেলগেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় একজন অজ্ঞাত পথচারী গুরুতর আহত হয়ে পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই পথচারীকে শ্রীমঙ্গল সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে জীবন কৃষ্ণ সরকার দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, ফেসবুকে দুর্ঘটনার খবর দেখে আমরা বাবার লাশ নেওয়ার জন্য শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানায় এসেছি। আমার বাবা একজন পল্লী চিকিৎসক ছিলেন। নিহত দীনেশ চন্দ্র সরকার মৌলভীবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়াডের বারইকোনা এলাকার যোগেশ চন্দ্র সরকারের ছেলে। তিনি পেশায় এাকজন পল্লী চিকিৎসক। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাগাবলা বাজার শান্তি নিকেতন নামে একটি ফার্মেসির ব্যবসা রয়েছে। তার বয়স ছিল আনুমানিক ৭৫।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শারমীন আক্তার দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুপুরে নিয়ে এসেছিলেন। মাথায় ও বুকে প্রচণ্ড আঘাত পাওয়ার কারণে লোকটি হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করি।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মওদুত হাওলাদার দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, এ ঘটনায় একটি ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
কেকে/এএম