পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সন্ধ্যা নদীর নতুন করে ত্রিমুখী ভাঙনের মুখে পড়েছে আমরাজুড়ী ইউনিয়নের স্বরূপকাঠী-কাউখালী সড়ক সংযোগকারী ফেরীঘাট বাজার। ফেরিঘাট জামে মসজিদটি নদীতে ভেঙে যাওয়ার কারণে এলাকার মুসল্লীদেরকে নামাজ পড়তে অনেক দূরে যেতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাজারের কমপক্ষে ১৫/২০টি বিভিন্ন প্রকারের দোকান গ্রাস করছে রাক্ষুসে সন্ধ্যা নদী।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ার ফলে আরো অনেক দোকান, বাড়িঘর, রাস্তা, মসজিদসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে। জিও ব্যাগ ফেলেও রোধ করা যাচ্ছেনা ভাঙন।
নদী ভাঙনের কারণে বহু বার ফেরিঘাট স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ফেরিঘাট থেকে পিরোজপুর থেকে গড়িয়ার পাড় হয়ে বরিশাল-ঢাকা-বানারিপাড়া-নেছারাবাদ-কাউখালী-পিরোজপুর-বাগেরহাট সহ খুলনা যাতায়াত করে যানবাহন।
ফেরীঘাট বাজারের ব্যবসায়ী ইকবাল তালুকদার ও ফেরীঘাট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা গাজী আনোয়ার হোসেনসহ ক্ষতিগ্রস্তরা জানান , তিন নদীর মোহনায় আমরাজুড়ী ফেরীঘাট হওয়ায় এ ভাঙনের মুখে পড়ছে এলাকাবাসী। স্থায়ী বাধ নির্মানে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় রোধ করা যাচ্ছেনা ভাঙন। করুন দৃষ্টিতে নিজেদের সর্বনাশ দেখছে অসহায় ভুক্তভোগীরা।
ইতোমধ্যে সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনে ১৫/২০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাজারের এক মাত্র জামে মসজিদ সহ চলাচলের রাস্তা বিলীন হয়ে গেছে। অবিলম্বে যদি স্থায়ী ও টেকসই বেরিবাঁধ না করা হয় তাহলে আমরাজুড়ী ইউনিয়নের বিরাট একটি অংশসহ কাউখালী-শেখেরহাট সংযোগ সড়ক, ফেরীঘাট ও বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পুর্ন বিলীন হয়ে যাবে। ভাঙ্গন রোধের জন্য কয়েক দফা জিও ব্যাগ ফেলার পরেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। বর্তমানে ফেরিঘাট বাজারটি খুবই ভয়াবহ ঝুকির মধ্যে রয়েছে। এলাকাবাসী নিজেরা বহুবার নিজেদের চাঁদার মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধের পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও ভাঙ্গোন রোধ করা সম্ভব হয়নি।
এলাকাবাসী জানান ,পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বহুবার জানানো সত্বেও তারা জোরালো কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না। ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া হলে বাজার ও ফেরীঘাট রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা বলেন, সরেজমিনে আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, বিষয়টা আমাদের নজরে আছে। বরাদ্দ পেলেই আমরা কার্জকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
কেকে/ এমএস