সৃষ্টির সেবা ও মানব কল্যাণ
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩

সৃষ্টির সেবা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বস্তুত ইলম বিতরণ ও বক্তৃতার দ্বারা মানুষের মস্তিষ্ককে বশীভূত করা যায়। আল্লাহর পরিচয় ও প্রিয় নবীর জীবনী, জান্নাত জাহান্নাম তথা আখেরাতের বর্ণনা, নবী-রসুলগণ, সাহাবা আজমাইন, ওলি আবদাল, বুজুর্গানে দীনদের ঘটনা এবং তাদের কাশফ ও কারামত ইত্যাদি বিবরণের মাধ্যমে মানুষের ইমানি শক্তি বৃদ্ধি পায়, আমলের প্রতি জজবা সৃষ্টি হয়; কিন্তু মানুষের অন্তরকে তেমন কোনো প্রভাবিত করা যায় না। মানুষের অন্তর প্রভাবিত হয় সেবা ও খেদমতের দ্বারা।
মানুষের বিপদ-আপদে পাশে দাঁড়ানো, তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া, যে কোনো প্রকারের পেরেশানি ও কষ্ট থেকে মানুষকে উদ্ধার করা, অনাহারি দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা। অসুস্থ, আহত, রোগাগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা। বন্যা, মহামারি ও অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন করা।
সর্বোপরি নির্যাতিত মজলুম ক্ষতিগ্রস্ত লাঞ্ছিত-বঞ্চিত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি। এ সেবা বা খেদমত দুভাবে করা যায়- ১. আত্মিক, ২. বৈষয়িক। বৈষয়িক সেবার তুলনায় আত্মিক সেবার বিষয়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে কোরআন ও হাদিসে আত্মিক সেবার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবার যুদ্ধের প্রাক্কালে হজরত আলী (রা.)-কে লক্ষ্য করে বলেছিলেন : আল্লাহর কসম তোমার দাওয়াতে আল্লাহতায়ালা যদি মাত্র একজন মানুষকেও হেদায়েত দান করেন তবে তা তোমার জন্য লাল বর্ণের মূল্যবান উটের মালিক হওয়া অপেক্ষাও অনেক উত্তম। (বোখারি)।
বৈষয়িক খেদমতের প্রতি গুরুত্বারোপ করে কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে : পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফেরানোর মধ্যে কোনো পুণ্য নেই, কিন্তু পুণ্য রয়েছে আল্লাহ, পরকাল, ফেরেশতাগণ, কিতাবসমূহ এবং নবীগণের ওপর ইমান আনয়ন করার মধ্যে এবং আল্লাহর মহব্বতে আত্মীয়স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, মুসাফির, সাহায্য প্রার্থীগণকে এবং দাসমুক্তির জন্য অর্থদান করার মধ্যে।
সালাত কায়েম, জাকাত প্রদান এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূর্ণ করাসহ অর্থ সংকটে, দুঃখ ক্লেশে ও সংগ্রাম সংকটে ধৈর্য ধারণ করলে এরাই তারা যারা সত্যপরায়ণ এবং তারাই মুত্তাকি। (সুরা বাকারা আয়াত-১৭৭)।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
