বক্তাবলী গণহত্যা দিবস আজ
মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ
🕐 ২:২৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২২

বক্তাবলী গণহত্যা দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী পরগনায় পাক হানাদার বাহিনী ১৩৯ জন নিরস্ত্র মানুষ হত্যা করে। হানাদার বাহিনী দুইটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। স্বাধীনতার বেশ কয়েক বছর পর থেকে ওই পরগনার মানুষ দিবসটি পালন করে আসছে। বক্তাবলী শহীদ হিসেবেও দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বৃহৎ গণহত্যার সাক্ষী হিসেবে দিবসটি ইতিহাসে সমুজ্জ্বল।
মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের প্রায় সাড়ে ৮ মাসই ঢাকা শহরের পার্শ্ববর্তি বক্তাবলী পরগনা ছিল একটি মুক্তাঞ্চল। এ কারণে বক্তাবলী ছিল ঢাকার মুক্তিবাহিনীর অন্যতম নিরাপদ প্রশিক্ষন ও কৌশলগত কেন্দ্র। বক্তাবলীর মানুষ শত শত মুক্তিযোদ্ধাকে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। সেই সাথে হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ শহর থেকে পালিয়ে আসা শত শত পরিবারের আশ্রয়স্থল ছিল বক্তাবলী।
২৯ নভেম্বর শীতের কুয়াশা ঢাকা ভোরে পাকবাহিনীর অতর্কিত হামলায় মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা প্রথমে আত্মরক্ষার্থে আত্মগোপণের কৌশল নিলেও পরে তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। মুক্তিবাহিনীর সদস্য সন্দেহে গ্রামের যুবকদের ধরে নিয়ে বুড়িগঙ্গা পাড়ে লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার পর থেকে বক্তাবলীর মানুষ দলমত নির্বিশেষে এ দিনটিকে বক্তাবলীর
শোক দিবস বা শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। শহীদ পরিবার, স্কুল- মাদরাসা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে থাকে। বক্তাবলীর শহীদ ১৩৯ জনের বেশির ভাগ মানুষকে সমাহিত করা লক্ষ্মীনগর কবরস্থানকে বধ্যভূমি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসলেও এ পর্যন্ত সরকারীভাবে কোন স্বীকৃতি
মিলেনি।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
