করোনাভাইরাস পরিস্থিতি
ভারতে শনাক্ত ১ লাখ ৭৩ হাজার, মৃত্যু ৩৬১৭
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ, মে ২৯, ২০২১
দিন যত যাচ্ছে তত ভয়ংকর হয়ে উঠছে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস। এতে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন বেড়েই চলছে মৃতের সংখ্যা, আক্রান্তও হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। মহামারি এ ভাইরাসের নতুন ভারতীয় ধরন মানুষের মনে আতঙ্ক আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনার টিকা আবিষ্কার হলেও এখনো কাটেনি আতঙ্ক। বিপর্যস্ত ভারতে যেন কিছুটা ‘স্বস্তির সুবাতাস’ বইছে। মাসখানেক আগে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা চার লাখের গণ্ডি ছাড়ালেও কমতে কমতে সেই সংখ্যা এখন পৌনে দুই লাখেরও নিচে নেমে এসেছে। কিন্তু প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যুতে যেন কাঁদছে পুরো ভারত। শনিবারও দেশটিতে করোনায় মৃত্যু ছাড়িয়েছে সাড়ে ৩ হাজার।
শনিবার (২৯ মে) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ। গত ৪৫ দিনের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭৭ লাখ ২৯ হাজার ২৪৭ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ৬১৭ জন। এতে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২২ হাজার ৫১২ জনে।
দৈনিক আক্রান্তের থেকে বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠাতেই ভারতে প্রতিদিনই কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। এক সময় তা ছিল ৩৭ লাখেরও বেশি। গত দু’সপ্তাহে কমতে কমতে সেই সংখ্যা ২২ লাখের ঘরে নেমে এসেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী কমেছে ১ লাখ ১৪ হাজারের বেশি। ফলে দেশটিতে এখন মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২২ লাখ ২৮ হাজার ৭২৪ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সূত্র: এএনআই, এনডিটিভি