সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ      
দেশজুড়ে
৬শত বছরের সাক্ষী রাণীশংকৈলের প্রাচীন যুগের তিন গম্বুজ মসজিদ
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে প্রাচীন যুগের ঐতিহাসিক ৬শত বছরের নির্মিত পুরনো তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি উপজেলার হোসেগাঁও ইউনিয়নের ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ী গ্রামে অবস্থিত। মসজিদটি  উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার মধ্যে অন্যতম।

ঘনবসতিপূর্ণ মনোরম পরিবেশে দাঁড়িয়ে থাকা ১৪২৫ সালে নির্মিত এই তিন গম্বুজ মসজিদটি এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মাত্র ২২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৯ ফুট প্রস্থ। মসজিদের মিনারের উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট। মসজিদটির ভিতরে রয়েছে চুন সুরকির বাহারি ডিজাইনের নকশা একেকটি পাথরে খোদাই করা রয়েছে আরবি বর্ণমালা। কালের বিবর্তনে এখন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় মসজিদটির সাথে নতুন একটি অবকাঠামো সংযোজন করা হয়েছে। আগে ছোট্ট ঐ মসজিদের ভিতরে মাত্র ৩০-৪০ জন্য মানুষ নামাজ আদায় করতে পারতো। এখন নতুন ঘর নির্মাণ করার ফলে অনেক মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে।

এক সময় ধর্ম প্রচারের জন্য এখানে আসেন বুড়া পীর নামে একজন বুজুর্গ, তার স্ত্রী সন্তান কেউ ছিলো না। পীর সাহেব  ঐ এলাকার কয়েকজন মুসল্লি নিয়ে নির্মিত করেন এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি। এমন তথ্য পাওয়া গেছে স্থানীয়দের কাছ থেকে।
মসজিদটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হলে শুধু ধর্মীয় উপাসনালয় নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টিকে থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরাই পারে এই শতাব্দী প্রাচীন স্থাপনাটিকে রক্ষা করতে।

স্থানীয় বাসিন্দা অব. আর্মি রেজাউল করিম বলেন, এই মসজিদ সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি, এটি মোঘল আমলে নির্মিত হয়েছিল।

আমাদের পূর্বপুরুষরাই এটি নির্মাণের পর থেকেই দেখাশোনা করে আসছেন। সে আমলে জনবসতী কম থাকায় ছোট পরিসরে নির্মিত হয় মসজিদটি। মাত্র ৩০থেকে ৪০ জন মুসল্লি দুই কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতেন। এখন চারপাশে গড়ে উঠেছে জনবসতি। কিন্তু মসজিদটি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে এখনো টিকে আছে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকার ফলে এটি প্রায় ধ্বংসের মুখে পড়েছিল। ২০১০ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে মসজিদটির সংস্কার করা হয়।

মসজিদের সভাপতি ইয়াসিন আলী জানান, এই মসজিদটির ইতিহাস আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শুনে এসেছি এখানে একজন পীর এসেছিলেন তিনিই এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। এক সময় পীর সাহেবের মৃত্যু হয়। পরে তাকে মসজিদের পাশে কবর দেওয়া হয়। তবে কেউ বলছে ৬শত বছরের পুরনো আবার কেউ বলছে ৭ শত বছরের পুরনো, তবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ থেকে কয়েকজন এসেছিলেন এখানে তারা ল্যাব টেস্ট করে বলেছেন এটি ৬০০ বছরের অধিক পুরনো ঐতিহ্যবাহী মসজিদ।

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
শিশু বলাৎকার ও হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি
জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ

সর্বাধিক পঠিত

আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’
চিকিৎসক ও জনবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
পাল্লা বাজারে রক্তলাল শাপলার মনভোলানো সমাহার
কালাইয়ে বিএনপির গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণ

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close