শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫,
১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম: চব্বিশের স্মরণে ২৪ দফা ইশতেহার দেবে এনসিপি      রোববার শাহবাগ এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ      ৫ আগস্ট বিকালে ঘোষণা হবে জুলাই ঘোষণাপত্র      জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন      গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে      গুলিস্তানে মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে সার্ভিসের ১১ ইউনিট      ৫ আগস্টের মধ্যেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ : তথ্য উপদেষ্টা      
দেশজুড়ে
৬শত বছরের সাক্ষী রাণীশংকৈলের প্রাচীন যুগের তিন গম্বুজ মসজিদ
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে প্রাচীন যুগের ঐতিহাসিক ৬শত বছরের নির্মিত পুরনো তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি উপজেলার হোসেগাঁও ইউনিয়নের ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ী গ্রামে অবস্থিত। মসজিদটি  উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার মধ্যে অন্যতম।

ঘনবসতিপূর্ণ মনোরম পরিবেশে দাঁড়িয়ে থাকা ১৪২৫ সালে নির্মিত এই তিন গম্বুজ মসজিদটি এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মাত্র ২২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৯ ফুট প্রস্থ। মসজিদের মিনারের উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট। মসজিদটির ভিতরে রয়েছে চুন সুরকির বাহারি ডিজাইনের নকশা একেকটি পাথরে খোদাই করা রয়েছে আরবি বর্ণমালা। কালের বিবর্তনে এখন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় মসজিদটির সাথে নতুন একটি অবকাঠামো সংযোজন করা হয়েছে। আগে ছোট্ট ঐ মসজিদের ভিতরে মাত্র ৩০-৪০ জন্য মানুষ নামাজ আদায় করতে পারতো। এখন নতুন ঘর নির্মাণ করার ফলে অনেক মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে।

এক সময় ধর্ম প্রচারের জন্য এখানে আসেন বুড়া পীর নামে একজন বুজুর্গ, তার স্ত্রী সন্তান কেউ ছিলো না। পীর সাহেব  ঐ এলাকার কয়েকজন মুসল্লি নিয়ে নির্মিত করেন এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি। এমন তথ্য পাওয়া গেছে স্থানীয়দের কাছ থেকে।
মসজিদটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হলে শুধু ধর্মীয় উপাসনালয় নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টিকে থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরাই পারে এই শতাব্দী প্রাচীন স্থাপনাটিকে রক্ষা করতে।

স্থানীয় বাসিন্দা অব. আর্মি রেজাউল করিম বলেন, এই মসজিদ সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি, এটি মোঘল আমলে নির্মিত হয়েছিল।

আমাদের পূর্বপুরুষরাই এটি নির্মাণের পর থেকেই দেখাশোনা করে আসছেন। সে আমলে জনবসতী কম থাকায় ছোট পরিসরে নির্মিত হয় মসজিদটি। মাত্র ৩০থেকে ৪০ জন মুসল্লি দুই কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতেন। এখন চারপাশে গড়ে উঠেছে জনবসতি। কিন্তু মসজিদটি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে এখনো টিকে আছে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকার ফলে এটি প্রায় ধ্বংসের মুখে পড়েছিল। ২০১০ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে মসজিদটির সংস্কার করা হয়।

মসজিদের সভাপতি ইয়াসিন আলী জানান, এই মসজিদটির ইতিহাস আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শুনে এসেছি এখানে একজন পীর এসেছিলেন তিনিই এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। এক সময় পীর সাহেবের মৃত্যু হয়। পরে তাকে মসজিদের পাশে কবর দেওয়া হয়। তবে কেউ বলছে ৬শত বছরের পুরনো আবার কেউ বলছে ৭ শত বছরের পুরনো, তবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ থেকে কয়েকজন এসেছিলেন এখানে তারা ল্যাব টেস্ট করে বলেছেন এটি ৬০০ বছরের অধিক পুরনো ঐতিহ্যবাহী মসজিদ।

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

পাংশায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু, আহত ৪
ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে ডিআইইউতে সেমিনার
‘শিল্পীর দূরদৃষ্টিতে ফেলনা বলতে কিছু নেই’
উখিয়ায় জামায়াতের পথসভায় জনস্রোত
বিএনপি ক্ষমতার রাজনীতি করে না: চন্দন

সর্বাধিক পঠিত

সালথায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন গ্রেফতার
মৌলভীবাজারে পৃথক দুর্ঘটনায় ২জনের মৃত্যু
চাটমোহরে ভাঙা রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
৫ আগস্ট বিকালে ঘোষণা হবে জুলাই ঘোষণাপত্র
গুলিস্তানে মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে সার্ভিসের ১১ ইউনিট

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close