ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বাড়ায় সাতক্ষীরার খুচরা বাজারে চালের দাম কমেছে। ব্যবসায়ী ও আমদানিকরকরা বলছেন, ‘প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ ভারতীয় চাল আমদানি হচ্ছে ভোমরা বন্দর দিয়ে। এতে করে দেশীয় বাজারে সব ধরনের চালের দাম কমে এসেছে।’
সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি খুচরা চাল বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে কেজিতে ৪-৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে।
এদিকে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ১৯ আগস্ট থেকে ৩১ অক্টবর পর্যন্ত সাড়ে চার মাসে এ বন্দর দিয়ে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭২৮ টন চাল আমদানি হয়েছে। যার আমদানি মূল্য ৯৬৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এসব চালের মধ্যে রয়েছে মিনিকেট, নাজেরশাল, বাসমতি, জামাইবাবু ও স্বর্ণাসহ অন্যান্য মোটাজাতের। আমদানিকৃত এসব চাল ঢাকা, চট্রগ্রাম ও উত্তরবঙ্গোসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ভোমরা বন্দর দিয়ে সব ধরনের চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এর টানা ছয় মাস পর ১৯ আগস্ট হতে পুনরায় এ বন্দরস্থল দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়।
সুলতানপুর বড় বাজারের খুচরা চাল বিক্রয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স আইয়ুব এন্টারপ্রাইজে মিনিকেট চাল বিক্রয় হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৮ টাকা, চিকন ২৮ জাতের চাল ৬০ টাকা, বাসমতি ৮২ টাকা ও মোটাজাতের চাল ৪৮ টাকা দরে। যা এক থেকে দেড় মাস আগেও মিনিকেট ৭২ টাকা, ২৮ জাতের চাল ৬৪ টাকা, বাসমতি ৯০ টাকা ও মোটা চাল ৫০-৫২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
দাম কমার কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্তাধিকারী আইয়ূব হোসেন বলেন, ‘ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে সব ধরনের চাল আমদানি বেড়েছে। যে কারণে সাতক্ষীরার চালের বাজারে তার প্রভাব দেখা দিয়েছে। ফলে, সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৫-৬ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে।’
সাতক্ষীরা জেলা দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সরবরাহ বেড়ে যাওয়াতে জেলার চালের বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। তাছাড়া নতুন আমন ধান উঠলে দাম আরো কমে আসবে।’
কেকে/এমএ