দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) সাদিক হোটেলে খাবারের সাথে স্টাপলারের পিন পাওয়া গিয়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) আনুমানিক রাত ১০টায় এ ঘটনাটি ঘটে। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের (২০ ব্যাচ) শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম সংগ্রাম ভাত খাওয়ার সময় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নাঈম ইসলাম সংগ্রাম অভিযোগ করে বলেন, সোমবার ১০টা ১০ মিনিটে সাদিক হোটেলে আমি আর আমার বন্ধু প্রিয় খাবার খেতে যাই। প্রিয় খাবারের পার্সেল চায় আর আমি সবজি দিয়ে ভাত খাচ্ছিলাম। ভাত খাওয়ার শেষভাগে হঠাৎ মুখের ভিতর মাছের কাটার মতো কিছু একটা অনুভূত হয়। হাত দিয়ে চাবানো ভাতসহ বের করে দেখি স্টাপলারের পিন। যা আমাকে রীতিমতো অবাক করে তোলে। প্রিয়কে বিষয়টি দেখাই, সে অবাক হয়। একই টেবিলে আরো ২জন খাবার খাচ্ছিলেন তাদেরকে বিষয়টি দেখাই। ওনারা এমন পরিস্থিতি দেখে হতভম্ব হোন। সাদিক ভাইকে ডাক দিয়ে বিষয়টি দেখাই এবং বলি ভাই এটা কেমন কথা খাবারের মাঝে স্টাপলারের পিন। তখন তিনি বলেন, ভাতটা পরিবর্তন করে দিচ্ছি। আমি বলি, ভাত পরিবর্তনের বিষয় তো বড় কথা না। এটা যদি আমার মুখের ত্বকে ক্ষতের সৃষ্টি করতো বা অজান্তে পেটের মধ্যে যেতো তখন কি হতো। তখন তিনি বলেন, এটি তো এখানে আসার কথা না কিভাবে যে আসলো।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরো বলেন, হোটেলটিতে এর পূর্বেও পোকা পাওয়া গেছে। আজকে আমি নিজেই স্টাপলারের পিন পেলাম যা ছিল অত্যান্ত অনাকাঙ্ক্ষিত। আশা রাখছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। আমি মৌখিকভাবে সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. আবুল কালাম স্যারকে জানিয়েছি। আগামীকাল লিখিত অভিযোগ জানাবো।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেছেন। আশা রাখছি, বিষয়টি ওনারা গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ভাত খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি উনি মুখ থেকে খাবার বের করলেন এবং সেখানে স্টাপলারের পিন বের হলো। সাদিক ভাইকে ডাকা হলো কিন্তু উনি বিষয়টি ভ্রুক্ষেপ না করে বললেন, এমন হতেই পারে। কিন্তু এটা তো একটা সিরিয়াস বিষয়। পিনটি ওনার শ্বাসনালিতে আঁটকে যেতে পারতো। যে কোনো একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। আল্লাহর রহমে সেটা হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত হবে বিষয়টি তদারকি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। এর আগেও অনেকবার পোকা পাওয়া গেছে। কিন্তু কোনো ব্যাবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাদিক হোটেলের মালিক সাদিক বলেন, কি আর বলবো। আমার কোনো বক্তব্য নেই। স্টাপলারের পিন তো এখানে আসার কথা না কিভাবে যে আসলো। হয়তো চাউলের মধ্যে ছিল। আমি পরে বসে ঠিক করে নিবো।
কেকে/বি