৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সময় পেছানোর দাবিতে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। এতে সড়কের এক পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রোববার (২৩ নভেম্বর) ৩টার পর থেকে তারা সেখানে অবস্থান শুরু করেন।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, আগের বিসিএস পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় দেয়া হলেও তাদের ক্ষেত্রে মাত্র ৫০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত অযৌক্তিক।
তারা বলেন, ২৭ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষা নেয়া হলে তাদের সঙ্গে অন্যায় করা হবে। তাই যৌক্তিক সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়ে পিএসসির প্রতি আহ্বান জানান তারা। দাবি আদায় না হলে ব্লকেডসহ কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী পরীক্ষার্থীরা।
এ সময় মিছিল নিয়ে জাদুঘরের সামনে আসলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয়। পরে সেখানেই বসে পড়েন পরীক্ষার্থীরা।
এদিকে, একই দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ময়মনসিংহে রেলপথ অবরোধ করেছেন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। রোববার সকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জব্বারের মোড় এলাকায় দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দিয়ে রেলপথ অবরোধ করে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ২৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচিকে ‘অবাস্তব ও বৈষম্যমূলক’ উল্লেখ করে বিসিএস পরীক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আব্দুল জব্বার মোড়ে আসেন। পরে তারা আব্দুল জব্বার মোড় সংলগ্ন রেললাইনের ওপর অবস্থান করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সম্মতি জানিয়ে এই রেল অবরোধ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। পিএসসি যদি দাবি না মানে, তাহলে আরো কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এর আগে, শনিবার রাত আটটার দিকে রেলপথ অবরোধ করে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রবেশপত্র পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান অবরোধে অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীরা। এদিন বিকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এরপর বিকাল ৫টায় অবরোধের উদ্দেশ্যে রেললাইনে অবস্থান নেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কেকে/ এমএস