বাহুবলে কোন মহলের লীজ না থাকলেও বালু দস্যুদের থাবায় ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে পাহাড়ি টিলা ও ছড়া।
কয়েক মাসে ছড়া ও টিলা কেটে লক্ষাধিক ঘনফুট বালু নিয়ে গেছে বালুখেকোরা। এসব দস্যুরা সাধারণ কোন ব্যবসায়ী বা পাচারকারী নয়। এরা রাজনৈতিক বলয়ে রাতের আঁধারে লুট করে নিচ্ছে মূল্যবান সিলিকা বালু। এসব রাক্ষুসী পাতি নেতাদের থাবায় ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে ভাদেশ্বর ইউনিয়নের আমতলী প্লানটেশনের ১০ নম্বর সেকশনের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া ভৈরাগী মাজারের রাস্তা।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে নব্য বালু দস্যুরা রাতের আঁধারে পাহাড়ি এ রাস্তার বালু লুটে নেওয়ায় পরিণত হয়েছে খালে। এতে ধ্বসে পড়ছে টিলা। রাজনৈতিক পরিচয়ধারী চিহ্নিত বালু খেকো চক্রটি মিরপুরে বসে মুছাই পাহাড়ের সিলিকা বালু লুটের যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে হুমকির মুখে ফেলেছে পরিবেশের ভারসাম্য।
চক্রটি প্রশাসনের দৃষ্টি ভিন্নদিকে নিতে একটি ভুয়া আইডি থেকে করতে থাকে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট। এরপরই নড়েচড়ে বসে
আমতলী বাগান কর্তৃপক্ষ। তাদের নিজস্ব লোকবলের মাধ্যমে বালু পাচার রুখতে জোরদার করে নৈশকালীন টহল।
গত ১৮ নভেম্বর মধ্যরাতে বালু খেকোদের পাকড়াও করতে আকষ্মিক অভিযানে নামে উপজেলা প্রশাসন। সুন্দ্রাটিকি ছড়া ও মুছাই পাহাড়ে আমতলীর সেই গহীন অরণ্যে চালানো হয় এ অভিযান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. গিয়াস উদ্দিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহবুবুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে টনক নড়ে বালু দস্যুদের। যদিও এ অভিযান বিলম্ব হয়ে যাওয়ায় লক্ষাধিক ঘনফুট বালু লুটে নিয়েছে চক্রটি। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পাহাড়ি টিলার ও মাজারের রাস্তার। যে রাস্তাটি এখন দেখলে মনে হবে যেন পাহাড়ি ছড়া। এছাড়া বাগানের নিরাপত্তা ও বালু পাচার ঠেকাতে আমতলী কর্তৃপক্ষ নির্মাণ করছেন পাকা গেইট। যেখানে রাতদিন থাকবে পাহারাদার।
কেকে/বি