নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. সাইফুল্লাহর নির্বাচনী জনসংযোগে যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে জামায়াতের ইউনিয়ন পর্যায়ের এক নেতাসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের ইটপুকুরিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে মো. সাইফুল্লাহ দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগে বের হন। সন্ধ্যার দিকে রামনারায়ণপুর ইউনিয়নে জনসংযোগ শেষে তিনি খিলপাড়া অতিক্রম করার সময় ইটপুকুরিয়া এলাকায় স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদলের একদল কর্মী অতর্কিতে হামলা চালায়।
হামলায় রামনারায়ণপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি আবদুল মান্নান ও ছাত্রশিবিরের কর্মী মো. নাহিদসহ পাঁচ-ছয়জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আবদুল মান্নান ও নাহিদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা জনসংযোগে থাকা সাংবাদিকদের কাছ থেকেও মুঠোফোন ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জনসংযোগ করছিলাম। খিলপাড়া এলাকায় পৌঁছালে যুবদল ও ছাত্রদলের একদল নেতা-কর্মী ধানের শীষের স্লোগান দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ছয়জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে খিলপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমির হোসেন খোকন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জামায়াতের নেতারা জনসংযোগকালে বিএনপির বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। তখন উপস্থিত ছাত্রদল ও যুবদলের কর্মীরা প্রতিবাদ জানালে দুইপক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। তবে, এতে কেউ আহত হয়েছে কি না তা তিনি জানেন না।’
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এ ঘটনায় কেউ এখনও থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কেকে/এমএ